মধ্যপ্রদেশে মহা নাটক অব্যাহত। আস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। শুক্রবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে বিধানসভায় আস্থা ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ভোপালে সাংবাদিক বৈঠকে নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন কমলনাথ। সেখানেই তিনি বলেন, 'রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেব। পদে না থাকলেও রাজ্যবাসীর উন্নয়ে কাজ চালিয়ে যাব।'
এরপরই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া টুইটে জানা, 'সত্যের জয় হয়েছে। এটা রাজ্যবাসীর জয়।'
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে আস্থা ভোট করতে বিধানসভার অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ২ সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন অধ্যক্ষ এন পি প্রজাপতি। বিদ্রোহী বিধায়কদের ফেরা পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করার কথা বলেছিলেন। অবিলম্বে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আস্থা ভোটের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি।
২২ বিধায়ক কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করায় আপাতত প্রশ্নের মুখে কমলনাথ সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা। বিজেপি দাবি জানিয়েছে আস্থা ভোটের। তবে,করোনাভাইরাস আতঙ্কে ২৬ মার্চ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্পিকার এন পি প্রজাপতি। ফলে আস্থাভোটও আপাতত মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান-সহ বিজেপির ৯ জন বিধায়ক। অবিলম্বে আস্থাভোট করানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ন্যায় প্রতিষ্ঠা পেল: প্রধানমন্ত্রী মোদী
এদিন স্পিকার এন পি প্রজাপতি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ১৬ কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গেই একজন বিজেপি বিধায়করেও ইস্তফা গ্রহণ করেছেন তিনি। পদত্যাগী বিজেপি বিধায়ক হলেন শরদ কোল।
কমলনাথের অনুরোধে আগেই তাঁর সরকারের ৬ মন্ত্রীর ইস্তফাপত্র গ্রহণ আগেই করেছিলেন স্পিকার। পরে আরও ১৬ জনের পদত্যাগপত্রও গ্রহীত হয়। ২৩০ আসনের বিধানসভায় বর্তমানে ২০৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। ২২ জন বিধায়ক পদত্যাগের পর কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ৯২। এদিকে সরকার গড়তে প্রয়োজন ১০৪ জন বিধায়ক। বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা ১০৭ জন।
Read the full story in English