Advertisment

'ভাইপোকে প্রতিষ্ঠা করতে আসিনি', ভোটের মুখে কটাক্ষ ভাইজানের

"ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের জন্য রাজনীতি করতে আসিনি। কলকাতায় সম্পত্তি করতে রাজনীতি করতে আসিনি। ভাইপোকে প্রতিষ্ঠা করতেও আসিনি।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল

শুধু বিজেপির আক্রমণের লক্ষ্য নয়, ভাইজানও আক্রমণ শানালেন সেই দিকেই। এদিকে মঙ্গলবারই কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে তৃণমূল যুব'র সর্বভারতীয় সভাপতি তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিবিআই গিয়েছে। আর এদিন ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রণ্টের এক জনসভায় পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, "ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের জন্য রাজনীতি করতে আসিনি। কলকাতায় সম্পত্তি করতে রাজনীতি করতে আসিনি। ভাইপোকে প্রতিষ্ঠা করতেও আসিনি। পিছিয়ে পড়াদের জন্য রাজনীতি করতে এসেছি। গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।"

Advertisment

এদিন শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন থেকে দুটি মিছিল এসে ওয়াই চ্যানেলে জমায়েত হয়। শিয়ালদা স্টেশন থেকে আসা মিছিলের নেতৃত্ব দেন আব্বাস সিদ্দিকি ওরফে ভাইজান। যদিও সভা শুরুর মুখে পুলিশ উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেয় বসার চেয়ার সরিয়ে নিতে। নীচে বসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেয়। পুলিশের বক্তব্য ছিল, যে সংখ্যক লোক আসছে সেখানে এই চেয়ার থাকলে সমস্যা হবে। তাঁদের সভা করার জন্য পুলিশ দুর্গন্ধময় ছোট জায়গা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভাইজান। তিনি কটাক্ষ করেন দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়েও। আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, "আমাদের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। আর আমরা মিটিং করতে এলে জায়গা পাব না। দুর্গন্ধময় পরিত্যক্ত জায়গা আমাদের দেবে। ভোটের আগে দুয়ারে সরকার নয়। সবসময় দুয়ারে সরকার হবে।"

আরও পড়ুন, প্রার্থী ঘোষণার আগেই জটু লাহিড়ীর নামে দেওয়াল লিখন, অস্বস্তিতে তৃণমূল

মূলত কেন্দ্রীয় কৃষি বিল, পেট্রল-ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবদ্ধির প্রতিবাদে এদিনের সভার আয়োজন করে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রণ্ট। কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের ওপরই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন আব্বাস। তাঁর কথায়, "কেন্দ্র ও রাজ্য মনে করে শুধু তারাই বলবে, কারও বলার অধিকাার নেই। কৃষকরা রাস্তায় বসে আছে। কেন্দ্রের তালে তাল দিলে ৫০ লক্ষ লোক নিয়ে রাস্তায় বসে যাব। সরানোর ক্ষমতায় নেই।"

রাজনৈতিক মহল তাকিয়ে রয়েছে বাম-কংগ্রেস ও আব্বাসের জোটের দিকে। গতবছর থেকেই ভাইজান জোট করে বিধানসভা ভোটে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। তারপর গত ২১ জানুয়ারি কলকাতা প্রেস ক্লাবে নতুন দল ঘোষণা করেন। তৃণমূল থেকে কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন আইএসএফ নেতৃত্ব। এদিন তিনি জানিয়ে দেন, "আশা করছি আগামী ২৮ তারিখের আগে জোটের আলোচনা মিটে যাবে। তাহলে সেদিন ভিড় উপচে পড়বে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Indian Secular Front Abbasuddin Siddiqui
Advertisment