নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়েছে বাংলার পরিস্থিতি। তৃণমূল-বিজেপির তরজায় অশান্ত হচ্ছে রাজনৈতিক ময়দান। বৃহস্পতিবার আরামবাগে জনসভা থেকে বিজেপি, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, দিলীপ ঘোষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের তালিকা থেকে বাদ যাননি এদের কেউই। তৃণমূল কংগ্রেসের 'দুয়ারে দুয়ারে সরকার' কর্মসূচী চালু হতেই বিজেপি তাঁদের 'আর নয় অন্যায়' কর্মসূচী প্রকাশ করে। স্বাস্থ্যসাথী সুবিধা কতজন পেয়েছে এই রাজ্য তা নিয়ে মমতা সরকারের কাছে হিসেবও চান বিজেপির রাজ্য সভাপরি দিলীপ ঘোষ। সেই প্রসঙ্গ টেনেই এদিন অভিষেকের কটাক্ষ, "দিলীপ ঘোষেদের উচিত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে রাখা।"
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের কথায়, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার নির্বাচনে জিতে ফিরলেই বিজেপির ছোট বড় মাঝারি নেতারা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বেন। তাই চিকিৎসার দায়িত্ব তখন কেউ তো নেবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিতে হবে। তাই আগেই এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে রাখুন।" তিনি এও বলেন, "নির্বাচনের ফল বেরলে অনেকটা কুকুর যেমন খ্যাঁক খ্যাঁক করে কামড়াতে আসে, বিজেপির সেই অবস্থা হবে।"
আরও পড়ুন, ‘বিজেপি বাংলার দল নয়, দিল্লিতে গিয়ে বসে থাকুক’, ভবানীপুরে ‘দুয়ারে দুয়ারে’ প্রচার মমতার
আরও পড়ুন, উন্নয়নই ভোটযুদ্ধের মূল হাতিয়ার, ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ তৃণমূলের
এদিন জনসভা থেকে আর কী কী বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-
* এই সভা ঘিরে মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ, উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি, মনে হচ্ছে নির্বাচন হয়ে গেছে। তাই বিজয় মিছিল শুরু হয়েছে।
* হার্মাদরা এখন মোদী-শাহ-দিলীপ ঘোষের পায়জামা ধরে ঝুলে যদি ভাবে তৃণমূলকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করা যাবে, তাহলে ভুল।
* দিলীপ ঘোষেরা চাইছে দুয়ারে সরকার বন্ধ করতে হবে।
* জেপি নাড্ডা বলছে ২০০-এর বেশি আসন পাব। এই হুগলী জেলায় খাতাও খুলতে পারবে না বিজেপি।
* যতই নাড়ো কলকাঠি, নবান্নে আবার হাওয়াই চটি
* শিক্ষা-স্বাস্থ্য-খাদ্য একমাত্র বাংলাতেই সম্পূর্ণভাবে বিনামূল্যে। দেশের আর কোথাও এই উদাহরণ নেই।
* মমতা সরকার ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছে। সাত বছরে মোদী কী করেছে সেই রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করুক বিজেপি।
* বিজেপি রাজনৈতিক লড়াই ধর্ম নিয়ে, জাত নিয়ে করে। আমরা ভাত নিয়ে, বস্ত্র নিয়ে, কর্মসংস্থান নিয়ে।
* আগামী দিনে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফিরে আসা এখন সময়ের অপেক্ষা।
* বিজেপি নেতারা সব ফ্লাইটে করে এসে পাঁচতারা হোটেলে থাকার পর দলিতদের বাড়িতে গিয়ে দোস্তি করে রাতে আবার হোটেলে এসে জল নিয়ে মস্তি করে। মানুষ বোকা নয়। সব বোঝে।
* সাধারণ মানুষের বিষয় নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেয় না দিলীপ ঘোষেরা। কিন্তু নাড্ডার গাড়ি কেন ট্রাফিক সিগনালে আটকাল তা নিয়ে স্বরাষ্টমন্ত্রকে চিঠি দেওয়া হয়ে গেল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন