বঙ্গ রাজনীতিতে অন্যতম চর্চিত শব্দ 'ভাইপো'। রাজ্য রাজনীতির বিরোধী দলগুলো হামেশাই 'ভাইপো' শব্দ প্রয়োগ করে শাসক শিবিরকে নিশানা করে থাকে। কিন্তু কে সেই 'ভাইপো'। ডিসেম্বরে ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানিয়েছিলেন, দম থাকলে তাঁর নাম ধরেই 'ভাইপো' বলা হোক।
অভিষেকের চ্যালেঞ্জে সাড়া দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। 'ভাইপো' যে আদতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তা বলেছিলেন।
এবার নাম করেই অভিষেককে 'তালোবাজ ভাইপো' বলে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী। খেজুরির সভা থেকে তিনি বলেছেন, 'একটা তোলা শ্রী পুরস্কার হবে। সেটা পাবে ওঁর ভাইপো। তোলাবাজ অভিষেক ব্যানার্জী। তোলাবাজ ভাইপো হটাও। গরু চোর, কয়লা চোর, বালি চোর ভাইপো হটাও। একটাই লক্ষ্য- তোলাবাজ বাইপোকে হটানো।'
এর আগে নাম না করে অভিষেককে 'তোলাবাজ ভাইপো' বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী। এমনকী, যুব তৃণমূল সভাপতিকে নিশানা করে 'গরু চোর, কয়লা চোর, বালি চোর' বলেও বিঁধেছেন। কিন্তু এই প্রথম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেই তাঁতে আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুকে পরিণত করলেন শুভেন্দু।
শিয়রে ভোট, তার আগে প্রতিটি সভাতেই নিয়ম করে প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। এর মধ্যেই তৃণমূল নেত্রী নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসাবে নিজের নাম ঘোষণা করতেই তাঁরে হাফ লাখ ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শুভেন্দু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বেড়েছে আক্রমণের ঝাঁঝ।
এর পরিস্থিতিতে নাম করে অভিষেককে শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণ যথেষ্ট গুরুত্ববাহী। এখন দেখার ডায়মন্ড হারবারের সভার কথা মতো নাম নিয়ে ভাইপো বলায় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে যুব তৃণমূল সভাপতি আদৌ কোনও মামলা করেন কিনা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন