শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার ১৩ জুলাই সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের পক্ষ থেকে রাজ্যজুড়ে তিনি নবজোয়ার কর্মসূচিতে ব্যস্ত। জেলার পর জেলা ঘুরছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে দলের সর্বস্তরের কর্মীদের উৎসাহিত করছেন। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই জটিল পরিস্থিতিতে নবজোয়ার কর্মসূচি এড়াতে চান না তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই কারণে তিনি ইডির ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না বলেই সূত্রের খবর।
এর আগে অবশ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন অভিষেক। সেটা প্রায় মাসখানেক আগের ঘটনা। সেই সময় সিবিআই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেককে তলব করেছিল। তখনও অভিষেক নবজোয়ার কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময় ছিলেন বাঁকু়ড়ায়। কিন্তু, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ডাকে সাড়া দিতে দলীয় কর্মসূচি থামিয়েই ফিরেছিলেন শহর কলকাতায়। ২০ মে নিজাম প্যালেসে অভিষেককে ম্যারাথন জেরা করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তারপর এবার অন্য একটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একই মামলায় অভিষেককে তলব করল। এবার অবশ্য নিজাম প্যালেস নয়। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে ডাকা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে।
তদন্তে তিনি সহযোগিতা করছেন। তার মানে কি নিজের সব কাজ ছেড়ে ডাকলেই যেতে হবে? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো কি তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের তাদের বাবার চাকর বলে মনে করেছেন? এই প্রশ্ন এখন তুলছেন তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিজেও সেই ভাবনায় বিশ্বাসী বলেই সূত্রের খবর। আগামী মাসেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে হাতে বেশি সময় নেই।
আরও পড়ুন- কোন নম্বরে ফোন করলে তাঁকে পাওয়া যাবে, জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্যের শাসক দলের সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে তাঁর কাছে নির্বাচনটাই আগে। সেজন্য গত ২৫ এপ্রিস কোচবিহার থেকে তিনি জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন। যে জনসংযোগ যাত্রায় সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন রাখা হচ্ছে, তাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাকে প্রার্থী দেখতে চান? আগামী ১৬ জুন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সেই কর্মসূচি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে শেষ হবে। যেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেন।