আসামের এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জির পরে পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি চালু করার দাবি জানিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। কেন এই রাজ্যে এনআরসি লাগু করা প্রয়োজন, কলকাতায় মেয়ো রোডের জনসমাবেশে তার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এবার পশ্চিমবঙ্গে নাগরিক পঞ্জিকরণ চালু করার দাবিতে কলকাতায় বড় সমাবেশ করতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)।
বিজেপির রথযাত্রার আগে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসির দাবিতে এবার 'কলকাতা চলো' অভিযান করবে এবিভিপি। ৩০ নভেম্বর কলকাতার রাণী রাসমণি অ্যাভিনিউতে ২০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর সমাবেশ করবে গেরুয়া বাহিনীর ছাত্র সংগঠন, এমনটাই দাবি তাদের। এই সমাবেশে অন্য রাজ্যের প্রতিনিধিরাও হাজির থাকবেন। একইসঙ্গে বিদ্যার্থী পরিষদের দাবি, দিনাজপুরে দাড়িভিট হাইস্কুলের দুই প্রাক্তন ছাত্র খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলকে কুকুর ও সাপের সঙ্গে তুলনা করে ফের বিতর্কে বেলাগাম দিলীপ ঘোষ
মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবে এক বাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক আশিস চৌহান বলেন, "সারা দেশে বাংলাদেশি লুকিয়ে রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে। সার্বিকভাবে ১৫-২০ লক্ষ বাংলাদেশি বেআইনিভাবে আমাদের দেশে বাস করছে। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, ঝাড়খন্ড, অাসাম, বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্যে অনুপ্রবেশের সমস্যা রয়েছে। তাই অনুপ্রবেশকারিদের চিহ্নিত করার জন্য দেশের সব রাজ্যেই এনআরসি প্রয়োগ করা খুব জরুরি।" পাশাপাশি তাঁর দাবি, "বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থীদের অবিলম্বে নাগরিকত্ব প্রদান করতে হবে।"
রাজ্যে এখনও সেভাবে সংগঠন মজবুত করতে পারেনি বিদ্যার্থী পরিষদ। তাই 'কলকাতা চলো' মহামিছিলে অন্য রাজ্য থেকেও ছাত্রছাত্রীরা হাজির থাকবেন। রাণী রাসমনির সমাবেশে তাদের লক্ষ্য, ২০ হাজার ছাত্রছাত্রী জমায়েত করা। অন্য রাজ্যের পরিষদের পদাধিকারীরাও তাদের মতপ্রকাশ করবেন। দাড়িভিট কাণ্ডের সিবিআই তদন্ত ছাড়া মৃত দুই যুবকের দেহের পুনরায় ময়না তদন্ত। এছাড়া দুই মৃত ছাত্রের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, এবং আহত ছাত্রছাত্রীদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে পরিষদ।
গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন মনে করে, বর্তমান রাজ্য সরকার "বাংলা ভাষার থেকে উর্দুকে বেশি পছন্দ করছে"। চৌহানের দাবি, "বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতির বিরোধী এই রাজ্য সরকার। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও উর্দু ভাষাকে প্রাধান্য দিতে তারা তৎপর।" সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন সংগঠনের রাষ্ট্রীয় সম্পাদক নরেন্দ্র সাপাম, এবং প্রদেশ সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার।