রাজ্য জুড়ে বিজেপিকে রাজনৈতিক সভা সমিতি করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে মেদিনীপুরের এক সভায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্যে মিছিল-মিটিং করার ক্ষেত্রে বিজেপিকে কিছুতেই অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। আমি জানি না কেন ওরা আমাদের ভয় পাচ্ছে! আপনারা নিশ্চই জানেন যে ভয় পেলেই একমাত্র সাপ ছোবল দেয়। এমনকী কুকুরও ভয় পেয়েই কামড়ায়। একইভাবে বিজেপিকে ভয় পেয়েছে বলেই আসলে তৃণমূল কামড়াচ্ছে”।
আরও পড়ুন- শবরমৃত্যুর ক্ষতে প্রলেপ দিতে জঙ্গলমহল সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, রথযাত্রাকে সামনে রেখে রাজ্য জুড়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। এইসব কর্মসূচিতে নিয়ম করে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন দিলীপ। আর প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই কুকথা ব্যবহার করছেন তিনি। কিছুদিন আগেই বিজেপি কর্মীদের গায়ে হাত দিলে ‘এনকাউন্টার’-এর ভয় দেখিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ।
তবে, তৃণমূলের হাতে বিজেপিকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার কথা সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “আমাদের দল আবার কখন বিজেপিকে হুমকি দিল? বিজেপি আমাদের সম্পর্কে কুকথা বললে, আমরা শুধু প্রতিবাদ করছি। আমরা আক্রমণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না”।
আরও পড়ুন- কৃষি ও শিল্পের দাবিতে সিঙ্গুর থেকে কলকাতা পদযাত্রা করবে বাম কৃষক সংগঠন
রাজনীতির কথার পরিবর্তে সামগ্রিকভাবে কুকথার রাজনীতিতেই ইদানিং ভরসা রাখছেন এ রাজ্যের রাজনীতির কারবারিরা। একদিকে তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল, তো অন্যদিকে বিজেপির দিলীপ ঘোষ। এর মাঝেই আবার তৃণমূলের ‘যুবরাজ’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘তুই-তোকারি’ করে বেশ ‘খ্যাতি’ অর্জন করেছেন। আর ‘মহাজ্ঞানী মহাজন’দের এমন তাক লাগানো সাফল্য দেখেই আবার কুকথা বলায় অনুপ্রাণিত হচ্ছেন বিভিন্ন দলের ছোট, বড়, মেজ নেতারা। আর তাঁদের শব্দ চয়নের মুন্সিয়ানায় নিয়ত ফুলে ফেঁপে উঠছে এই বঙ্গের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছে, এই ধরনের কথা বলে সহজে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা যায় বলেই রাজনীতিকদের এমন কুকথা প্রীতি। কিন্তু, এমন কথা যে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিকে কতটা দূষিত করছে, সে কথা ভাবছে না কোনও দলই। অবশ্য, শুধুই ক্ষমতা দখলের রাজনীতির ম্যারাথনে ছুটতে থাকা রাজনীতিকরা আর কবে এসব ‘অকাজের কথা’ ভেবেছেন।
Read the full story in English