লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপির উত্থানের পরই এবার তোড়জোড় আরএসএসে। একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে এবার বাংলায় নামছে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। ছাত্রীদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণের পাঠ যেমন সেখাবে এবিভিপি, তেমনই কলেজে ভর্তি দুর্নীতি ঠেকাতে আন্দোলনের পথে নামবে তারা। কলেজে ছাত্র ভোটের দাবি জানিয়েও আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা নিয়েছে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন। একইসঙ্গে রাজ্যের ৫০০ কলেজে নিজেদের সংগঠন খোলার কাজও করবে এবিভিপি।
আরও পড়ুন: প্রাণনাশের হুমকির মুখে বাতিল কলকাতার বিফ ফেস্টিভাল
প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৮টি কেন্দ্রে অভূতপূর্ব জয় পেয়েছে বিজেপি। একইসঙ্গে শাসকদলের গা ঘেঁষে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে পদ্মবাহিনী। উনিশের পর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন এখন কার্যত পাখির চোখ গেরুয়াবাহিনীর। একুশে বাংলায় পরিবর্তন আনতে মরিয়া অমিত শাহরা। সেই প্রেক্ষাপটে আরএসএসের ছাত্র সংগঠনের এহেন কর্মসূচি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: ওদের বিজয় মিছিল হবে না, আমাদের শান্তি মিছিল হবে, পুলিশকে নির্দেশ মমতার
এ প্রসঙ্গে এবিভিপির রাজ্য সভাপতি সপ্তর্ষি সরকার বলেন, ‘‘রাজ্যে ১০ হাজার ছাত্রীকে আমরা আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নারী নির্যাতনের ঘটনায় এ রাজ্যই শীর্ষে। তাই ছাত্রীদের আমরা মার্শাল আর্টসের প্রশিক্ষণ দিতে চাই, যাতে ওঁরা আত্মরক্ষা করতে শেখেন’’। সপ্তর্ষি আরও বলেন, ‘‘কলেজে ভর্তিতে ঘুষ নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। অনেক কলেজে ছাত্র ভোটই হয়নি। আমরা এ নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামছি’’। এবিভিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১০ ও ১১ অগাস্ট কলকাতায় বৈঠক করার কথা কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির। সেই বৈঠকের পরই পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।
অন্যদিকে, এবিভিপির এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ধর্মের ভিত্তিতে ওরা বাংলায় বিভাজন তৈরি করতে চাইছেন। বাংলার ছাত্ররা এটা কখনই মেনে নেবেন না। এখানে একতা রয়েছে। কোনও পড়ুয়াই তা নষ্ট করতে চাইবেন না। ছাত্ররা ওদের বর্জন করবেন’’।
Read the full story in English