তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম কঠোর সমালোচক কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসে থাকাকালীন যাঁদের জন্য কংগ্রেসে থাকবেন না বলেছিলেন তৎকালীন যুব কংংগ্রেস নেত্রী সেই তালিকায় ছিলেন অধীর চৌধুরীও। তালিকার অনেকে পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে সাংসদ বা নেতা হয়েছেন। যাননি শুধু বহরমপুরের সাংসদ। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ নিয়ে সমালোচনা কখনও বন্ধ করেননি। এবার বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কিত মন্তব্য ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকলেন অধীর।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার মন্তব্য নিয়ে তোপ দাগলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অনুপমের মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যে তোলপাড় বাংলার রাজনৈতিক মহল। এমনকী বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ও বলেছেন, "দায়িত্ব থাকলে সতর্ক হয়ে কথা বলতে হয়।" সোমবার বোলপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি থানায় এফআইআর দায়ের করেছে তৃণমূলের উদ্বাস্তু সেল। যদিও নিজের মন্তব্য থেকে পিছু হঠতে নারাজ অনুপম।
রবিবার বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেছিলেন, "আমি ঠিক করেছি আমার যদি করোনা হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরব।" তাঁর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে হইচই শুরু হয়ে যায়। কেন এই কথা বলেছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। এদিন তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হওয়ার পরও নিজের বক্তব্য থেকে একটুও সরে আসেননি। বরং মমতার বিরুদ্ধ এফআইআর করার হুঙ্কার ছেড়েছেন। এবার বহরমপুরের সাংসদ অনুপমের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন।
অধীর চৌধুরী বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আমার হাজারও অভিযোগ আছে ও থাকবে। অভিযোগ ব্যক্ত করার অধিকার আমার আছে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করার কোনও অধিকার নেই। একজন মহিলার প্রতি বিজেপি নেতার অশালীন মন্তব্য বাংলার তথা ভারতীয় সংস্কৃতির অপমান বলে মনে করি। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ একদিন দিদিকে দেবী বলতেন, তাঁর দয়াতে সাংসদ হয়েছিলেন। বিজেপি পার্টি ক্ষমা চাও। বাংলায় এসব চলবে না।"
অধীর চৌধুরীর বক্তব্য
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন