Advertisment

নাগরিকত্ব বিলে ‘আপত্তি’, বিজেপির ‘চাপ’ বাড়াচ্ছে উত্তর-পূর্বের আরও চার শরিক

শুধু মেঘালয়ই নয়, নাগরিকত্ব বিলে আপত্তি তুলে বিজেপির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মিজোরামের শরিকরাও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Citizenship Bill, নাগরিকত্ব বিল

নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় বিজেপি শরিকরা। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে কার্যত যেন বিপাকে ফেলল নাগরিকত্ব বিল। এই বিলে আপত্তি জানিয়ে এবার উত্তর-পূর্বের বাকি শরিকদেরও রোষের মুখে পড়তে হল গেরুয়াবাহিনীকে। আগামী দিনে পদ্মবাহিনীর সঙ্গে তাঁরা পথ চলবেন কিনা সে নিয়ে এবার ভাববেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মেঘালয়ই নয়, নাগরিকত্ব বিলে আপত্তি তুলে বিজেপির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মিজোরামের শরিকরাও। সব মিলিয়ে ‘নর্থ-ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’(এনইডিএ)-এর ১১টি দলের ক্ষোভে কার্যত ‘চাপে’ গেরুয়াশিবির। উল্লেখ্য, এই বিলে আপত্তি জানিয়েই আসামে বিজেপি সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অগপ। উনিশের ভোটের আগে এমন শরিকি অসন্তোষ অমিত শাহদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisment

নাগরিকত্ব বিলের আপত্তি তুলে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানিয়েছেন, লোকসভায় এই বিল পাশ ‘দুর্ভাগ্যজনক’। এ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা হবে তা নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সাংমা বলেছেন, ‘‘আমরা এটাকে একেবারেই সমর্থন করিনা। জোটে বিভিন্ন দল রয়েছে। সুতরাং, আগামী দিনে কী করব সেটা ভেবে দেখব।’’ উল্লেখ্য, মেঘালয় ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স(এমডিএ)-এর নেতৃত্বে রয়েছে এনপিপি। উত্তর-পূর্বের সে রাজ্যে জোট সরকারে রয়েছে বিজেপি। ৬০টি আসনের মধ্যে এনপিপি-র দখলে রয়েছে ২০টি আসন। এমডিএ-র দখলে রয়েছে ৩৮টি আসন, যেখানে বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে মাত্র ২টি আসন। এমন প্রেক্ষাপটে শেষমেশ জোট ভাঙলে উনিশের নির্বাচনের আগে জোর ধাক্কা খাবে গেরুয়াবাহিনী।

আরও পড়ুন, নাগরিকত্ব বিলে আপত্তি, আসামে বিজেপি সরকার থেকে অগপ-র সমর্থন প্রত্যাহার

উত্তর-পূর্বে আরেক শরিক আইপিএফটিও নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা জানিয়েছে। সে দলের সহকারি সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল দেববর্মাও বলেছেন, ‘‘ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ করব, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’’ ত্রিপুরায় জোট সরকারে রয়েছে আইপিএফটি। ৫৯টি আসনের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ৩৫টি আসন, অন্যদিকে আইপিএফটির হাতে রয়েছে ৮টি আসন।

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘‘লোকসভায় এই বিল পাশ হওয়া নিয়ে আমরা খুবই বিরক্ত। আমরা আশা করছি, এটা রাজ্যসভায় পাশ হবে না। যদি রাজ্যসভায় এটা পাশ হয়, তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’’ সম্প্রতি সে রাজ্যে বিধানসভা ভোটে ২৬টি আসনে জয়ের হাসি হেসেছে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট। যেখানে বিজেপি জিতেছে মাত্র একটি আসন। মিজোরামের মতোই নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করেছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীও। এনডিপিপি-র নিফিউ রিও-র তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাতে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কেন্দ্র পর্যালোচনা করে দেখে।

অন্যদিকে, লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পাশ ঘিরে ত্রিপুরায় অশান্তিও ছড়ায়। মঙ্গলবার সে রাজ্যে বিলের বিরোধিতায় সংঘর্ষে ৪ জন জখম হন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, বুলেটের ঘায়ে জখম হয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন। বিল বিরোধিতায় অশান্তি ছড়িয়েছে আসামেও। উল্লেখ্য, বিলের বিরোধিতা জানিয়ে জোট থেকে বেরিয়েছে অগপ। সে দলের প্রধান অতুল বরা বুধবার বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রের এই বিল পাশের বিরোধিতায় রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে। আমরা মানুষের পাশে রয়েছি।’’

Read the full story in English

bjp Citizenship Bill
Advertisment