১৮ মে কংগ্রেস ছাড়ার পর থেকে নানা ইস্যুতে হাত-শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন হার্দিক প্যাটেল। তবে এবার গুজরাতের পতিদার নেতার আক্রমণের লক্ষ্য থেকে কংগ্রেস সরেছে। রবিবার থেকে আম আদমি পার্টিকে টার্গেট করে একের পর মন্তব্য করে চলেছেন হার্দিক। সম্প্রতি পঞ্জাবে জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান নেতৃত্বাধীন সরকারকে তুলোধনা করেছেন হার্দিক। আপ-এর শাসনে পঞ্জাবের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে নাম না করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালেরও সমালোচনা করেছেন প্যাটেল।
টুইটে পতিদার নেতা লিখেছেন, ''অত্যন্ত দুঃখজনক এই ঘটনার পরে পঞ্জাব এখন অনুভব করছে, সরকার নৈরাজ্যকারীদের হাতে গেলে কতটা মারাত্মক হতে পারে। কিছু দিন আগে একজন প্রাক্তন আন্তর্জাতিক কবাডি খেলোয়াড় এবং এখন শিল্পী সিধু মুসেওয়ালার নির্মম হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে দিল।''
আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী মানের সমালোচনার পাশাপাশি আপ সুপ্রিমো কেজরিকেও নাম না করে নিশানা করেছেন হার্দিক। তিনি বলেন, ''পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এবং যাঁরা দিল্লি থেকে পঞ্জাব সরকার চালাচ্ছেন, তাঁদের ভাবতে হবে তাঁরা কি কংগ্রেসের মতো আরও একটি দল হয়ে উঠতে চায়, যাঁরা পঞ্জাবকে কষ্ট দিয়েছেন। নাকি তাঁরা সত্যিই জনগণের জন্য কিছু করতে চান।"
কংগ্রেস ছাড়ার পর হার্দিক কোন দলে যোগ দেবেন তা নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ ভেবেছিলেন কংগ্রেস ছাড়ার পর আপ-এর দিকে পা বাড়াতে পারেন হার্দিক। তবে সেই সম্ভবনা যে এখনই নেই, তা আপ নেতৃত্বাধীন সরকারকে আক্রমণ করার মধ্য দিয়েই স্পষ্ট করে দিলেন হার্দিক প্যাটেল। বিজেপিকে দুষে এখনও পর্যন্ত সেভাবে সোচ্চার হননি হার্দিক। এমনকী বেশ কয়েকবার তাঁর মুখে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের স্তুতি শোনা গিয়েছে বলে দাবি করছেন কেউ-কেউ। তবে কি এবার তাঁর গন্তব্য গেরুয়া দল? বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিত কিন্তু রয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘জৈনের গ্রেফতারি আসলে প্রতারণা’, ইডির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ কেজরিওয়ালের
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আপ নেতা বলেন, ''হার্দিকের আপ-এ যোগদানের সম্ভাবনা খুবই কম ছিল। তাঁর এই টুইটগুলি এখন প্রায় স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তাঁকে আপ পরিবারে আর স্বাগত জানানো হবে না। তাঁর টুইটের ভাষা বিজেপির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। আমি মনে করি তাঁর জন্য একমাত্র বিকল্প বিজেপিতে যোগ দেওয়া। তিনি কিছুদিন ধরে বিজেপি এবং তাদের নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন।''
গত সপ্তাহে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে প্যাটেল আপ-এ যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ''কোথায় যাব এখনও স্পষ্ট নয়। বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে বসে ভাবব আমার কি করা উচিত যাতে মানুষের উপকার হয়। আমাদের উদ্দেশ্য হল মানুষের মাঝে থাকা এবং এরই মধ্য দিয়ে সেরা বিকল্পটি বেছে নেওয়া।''
Read full story in English