আম আদমি পার্টি তথা আপ পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে রীতিমতো ঝড় তুলে কংগ্রেস-বিজেপিকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। ৮০ শতাংশ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে। গোয়াতেও খাতা খুলেছে আপ। এই ফলাফলকে হাতিয়ার করে দীর্ঘ পথ এগোতে চাইছে আপ। সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও সংগঠন বিস্তার করে নির্বাচনে নামতে চাইছে আপ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে ১৫ জেলায় কমিটি তৈরি করে সংগঠন তৈরির কাজ চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপের রাজনৈতিক পরীক্ষা হবে বাংলায়।
আম আদমি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা তথা বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সঞ্জয় বসু ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'আমাদের পরিকল্পনা সারা ভারতজুড়ে। আলাদা করে পশ্চিমবঙ্গের জন্য় কোনও পরিকল্পনা নেই। ২০২০-তে যখন অরবিন্দ কেজরিওয়াল দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ নেয়, সেদিন রাতে আমরা বৈঠকে বসেছিলাম ওনার বাসভবনে। আমরা তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দলকে সারা ভারতে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমরা সেখানে 'রাষ্ট্র নির্মান অভিযান' কর্মসূচি গ্রহণ করি। এরাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ, যুবক আগ্রহী আমাদের সঙ্গে কাজ করতে।'
বাংলায় নির্বাচনে লড়াই করার কী পরিকল্পানা রয়েছে আপ-এর? সঞ্জয় বসু বলেন, '২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করিনি। পুরসভায় সংগঠন না বানিয়ে লড়ে খারাপ ইমপ্রেশন করতে চাইনি। আজ থেকে বিষয়টা পাল্টে গেল। তৃণমূল স্তরে সংগঠন তৈরি করে পরবর্তী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা লড়ব। তবে সামনের কোনও উপনির্বাচনে আপ বাংলায় প্রার্থী দেবে না।' ইতিমধ্যে এরাজ্যে সংগঠন কীভাবে বিস্তার করছে সেকথাও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, 'ঝাড়গ্রাম ও কালিম্পং ছাড়া প্রায় সমস্ত জেলাতেই আমাদের সংগঠন রয়েছে। আমরা ১৫টা জেলায় কমিটি ঘোষণা করে দিয়েছি। তাঁরা কাজ করছে। মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, হাওড়া, মুর্শিদাবাদসহ নানা জেলাতে সংগঠন বিস্তারে কাজ চলছে। এবার একটা ঢেউ আসবে। এই ঢেউটাকে কাজে লাগানোর জন্য একটা কাঠামো তৈরি করেছি। এবার মাঠে নেমে কাজ হবে। কলকাতায় আপ মহিলা সংগঠন ঘোষণা করা হবে আগামী সোমবার।'
বিগত দিনে আপ একাই নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। তাতেই দিল্লিতে পরপর দুবার ও পরে পঞ্জাবে ভাল ফল করল। এবার তাঁদের লক্ষ্য দেশের বাকি এলাকা। ভোট নিয়ে যতই কারচুপি হোক, আপ পরকল্পনা করে তার সঙ্গেও যুঝে নেবে বলে জানিয়ে দেন সঞ্জয়বাবু। তাঁর কথায়, 'আমরা যখন ঢুকব তখন সবাই বুঝতে পারবে অলটারনেটিভ পলিটিক্স। বাংলার তৃণমূলের বহিরাগত তত্বের রাজনীতি ধাক্কা খেয়েছে গোয়াসহ অন্যত্র। নভেম্বরে আমরা মোদির ঘর গুজরাটে গিয়ে হানা দেব। যাব হিমাচলেও। আমরা জোট করি না। সব জায়গায় একাই লড়াই করব।'