রাজস্থানে এআইসিসি ইন-চার্জের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন। 'ভারত জোড় যাত্রা' রাজস্থানে ঢোকার এখনও দিন ১৫ বাকি। তার মধ্যেই মাকেনের পদত্যাগ, কংগ্রেসের গেহলট বিরোধী গোষ্ঠীর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা বলে মনে করছেন কংগ্রেসের একাংশ। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের তিন অনুগতদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা দল নেয়নি।
এই তিন অনুগামীকে ২৫ সেপ্টেম্বর জয়পুরে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সমান্তরাল সভা করার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এআইসিসির তরফে মাকেনরা যে সভা ডেকেছিলেন, সেই সভায় ওই তিন গেহলট অনুগত ও তাঁদের অনুগামীরা আসেননি। তারপরও দল গেহলট অনুগতদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না-নেওয়ায় রাজস্থানে এআইসিসি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে মাকেন কার্যত অপমানিত হয়ে পদত্যাগ করলেন।
সূত্রের খবর, রাজস্থানের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়াল, দলের মুখ্য সচেতক মহেশ জোশি, রাজস্থান ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (আরটিডিসি) চেয়ারম্যান ধর্মেন্দ্র রাঠোরের বিরুদ্ধে দল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে ৮ নভেম্বর মাকেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। চিঠিতে মাকেন জানিয়েছিলেন যে ইতিমধ্যে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ওই তিন জনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে। তারপরও দল ওই তিন নেতার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না-নেওয়ায় তিনি যে অখুশি খাড়গেকে লেখা চিঠিতে সেকথা গোপন করেননি মাকেন।
আরও পড়ুন- দেশজুড়ে ‘বিরসা ভগবান’-এর জন্মবার্ষিকী, নেতা হিসেবে কোন অবদান ছিল বিরসার?
চিঠিতে মাকেন জানিয়েছেন যে, হাইকমান্ডের তরফে তাঁরা কংগ্রেস বিধায়কদলের যে বৈঠক ডেকেছিলেন, তা বয়কট করেছিলেন গেহলট অনুগামীরা। সেই বয়কটের ব্যাপারে কোনও সমাধান না-হলে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে থেকে যাওয়ার কোনও নৈতিক অধিকার তাঁর নেই। শুধু তাই নয়, চিঠিতে মাকেন অভিযোগ করেছেন, যে গেহলট অনুগামীরা বিধায়কদের বৈঠক বয়কটের নেতৃত্বে ছিলেন, তাঁদেরকেই 'ভারত জোড়' যাত্রা আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করা ছাড়া তাঁর কাছে কোনও উপায় ছিল না-বলেই মাকেন জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, খাড়গে এখনও মাকেনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। তাঁর দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু, তারপরও একসপ্তাহ দায়িত্ব পালনের শেষে মাকেন পদত্যাগ করলেন। তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, 'আমার কোনও নৈতিক কর্তৃত্ব আর অবশিষ্ট নেই। কোন অধিকারে আমি বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করব? অথবা রাজস্থানের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করব? গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়েছে। কিন্তু, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী, কেউ ক্ষমাও চায়নি।'
Read full story in English