Advertisment

'তৃণমূলের প্রার্থী তালিকাই শেষ কথা', ইস্তফার ইচ্ছা প্রসঙ্গেও ভোল বদল মন্ত্রীর

তাঁর তালিকায় দল অমুমোদন না করায় শুক্রবার রাতে দলীয় পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছা প্রকাশ করেন রাজ্যের মৎসমন্ত্রী অখিল গিরি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
finally the election process for the chairman of Kalna Municipality was canceled

একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে।

শুক্রবার রাতের পর শনিবার সকালেও একই ছবি। কাঁথি ও এগরা পুরভার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে মন্ত্রী অখিল গিরির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ চলে। কিন্তু ততক্ষণে মন্ত্রীর চড়া সুর উধাও। দাবি করছেন, দলের নির্ধারিত প্রার্থীকেই সমর্থন করতে হবে। এমনকী গতরাতে দলীয় পদ থেকে যে ইস্তফার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তা নিয়েও ভোলবদল করেন মৎসমন্ত্রী।

Advertisment

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যব্যাপী ১০৮টির মধ্যে ১০৭ পুরসভার জন্য তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। আর তার পর থেকে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত শুরু হয় বিক্ষোভ। দ্বিতীয়বার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেও সেই অসন্তোষ দমানো যায়নি। উল্টে হু হু করে বাড়তে থাকে প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ। টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তা অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। শাসক দলের সংগঠনের বেশ কয়েকজন দলীয় পদাধিকারী পদত্যাগও করেন।

এই বিক্ষোভের অভিঘাত সবচেয়ে বেশি পড়েছিল কাঁথিতে। গতরাতে প্রার্থী তালিকা দেখে চরম অসন্তো। প্রকাশ করেছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরি। দাবি করেন, 'আমরা যে প্রার্থী তালিকা পাঠিয়েছিলাম, তা দল অনুমোদন দেয়নি। সেই কারণেই দলের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে।' তালিকায় একজন-দু’জন দাদার অনুগামী জায়গা পেয়েছেন বলেও সোচ্চার হন মন্ত্রী। ঘোষণা করেন, জেলার নির্বাচনী আহ্বায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।

যদিও শনিবার আর সেই চড়া সুর নেই মন্ত্রীর গলায়। বলেছেন, 'গতকাল দলের সোশাল মিডিয়ায় যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তা নিয়ে দলের কর্মীদের একাংশের অসন্তোষ দেখা যায়। দলের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ওই প্রার্থী তালিকা সঠিক নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির স্বাক্ষরিত প্রার্থী তালিকা পাঠানো হবে। সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে। আমার কাছেও তালিকা এসেছে। আগের আর পরের তালিকা একই। এখন দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই অনুসারেই চলতে হবে। দলের নির্দেশই শেষ কথা।'

পাশাপাশি, দলীয় পদ থেকে ইস্তফা প্রসঙ্গেও উল্টো সুর অখিল গিরির। তাঁর দাবি, 'পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই নেই। দল যা দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করতে হবে।'

মন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট যে দলের সিদ্ধান্তে সায় না থাকলেও আপোস করেছেন তিনি। এর প্রভাব কী আসন্ন পুরভোট কাঁথিতে লক্ষ্য করা যাবে। সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে শাসক দলের নেতা, কর্মীদের মধ্যে।

East Midnapore abhishek banerjee Mamata Banerjee tmc
Advertisment