আদতে কাশ্মীরের হলেও মতিলাল নেহরুর জমানা থেকেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলেই তাঁদের পরিচিতি। সেই উত্তরপ্রদেশেই গত বিধানসভা নির্বাচনে মুছে গিয়েছে কংগ্রেস। সেই যন্ত্রণা কি রাহুল গান্ধী ভুলতে পারছেন না? না-হলে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিরোধী সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবকে 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় আমন্ত্রণ জানালেন না কেন? ২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় ডাক না-পেয়ে ক্ষুব্ধ অখিলেশ। কার্যত যাতে বিরোধী শিবিরেই ফাটল ধরেছে। আর, সমদূরত্বের নীতি মেনে অখিলেশের উপলব্ধি, 'বিজেপি আর কংগ্রেস একই।'
কংগ্রেসের অবশ্য সাফাই যে তারা বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন পার্টির নেতাদের রাহুলের 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কংগ্রেস নেতৃত্ব এই ব্যাপারে যে বাড়িয়ে বলেননি, তা গত তিন মাসে বারবার দেখেছেন দেশবাসী। এনসিপির শরদ পাওয়ার থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন দলের নেতা ও নেত্রীরা রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় যোগ দিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, তাঁরা ইতিমধ্যে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী ও রাষ্ট্রীয় লোকদলের জয়ন্ত চৌধুরিকে 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেই আমন্ত্রণ এখনও অখিলেশের কাছে পৌঁছয়নি বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন- ইজরায়েলের কী সেই বিতর্কিত আইন, যা নেতানিয়াহুকে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দিল?
আগামী ৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশ থেকে 'ভারত জোড়ো' যাত্রা পুনরায় শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত এই যাত্রা স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ রাখা আছে। তারমধ্যেই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন অখিলেশ। তিনি সেই সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'আমরা ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য এখনও কোনও আমন্ত্রণ পাইনি। আমাদের আদর্শ আলাদা। আমাদের কাছে বিজেপি আর কংগ্রেস, দুটো দলই একই।'
আর, এতেই উঠছে প্রশ্ন। কংগ্রেস যখন আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে বলছে, তখন তা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা কি অখিলেশের উচিত ছিল? কারণ এখনও যাত্রা শুরুর জন্য হাতে বেশ কিছুদিন সময় আছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে অখিলেশ কি সমাজবাদী পার্টির আলাদা রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরতেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন?
Read full story in English