কলকাতায় জনসভা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। অগাষ্টের শেষের দিকে এই সভার আয়োজন করবে বঙ্গ বিজেপি। অগাস্টেই আবার শহরে আসছেন দলের সর্বভারতীয় কার্যকারী সভাপতি জেপি নাড্ডা। তবে কলকাতা পুলিশ ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করা অনুমতি দেবে না বলেই আশঙ্কা করছে রাজ্য বিজেপি। সভার বিকল্প জায়গা এখনও ঠিক হয়নি। সাংগঠনিক স্তরে তলে তলে এই সভা সফল করার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
লোকসভার আসন কমে যাওয়া, কাটমানি ইস্যু, বিজেপির উত্থান- সব মিলিয়ে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাইয়ে একটা বড় চাপ ছিল। অন্য যে কোনও বছরের তুলনায় এবার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্য়ে সেই উন্মাদনাও লক্ষ্য করা যায়নি। তাই 'জখম' তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানকে টেক্কা দিতে মেগা সমাবেশের আয়জনে কোমর বাঁধছে বিজেপি। উল্লেখ্য, এর আগে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে অমিত শাহ সভা করেছিলেন। তখন রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থাও অনেকটাই দুর্বল ছিল। রাজ্যের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির বদলও ঘটেছে। ফলে, এবার আক্ষরিক অর্থে 'সফল' সমাবেশের স্বপ্ন দেখছে মুরলীধর সেন লেন।
বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, "১৫ আগষ্টের পর রাজ্যে আসছেন দলের সর্বভরাতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি কলকাতায় জনসভা করবেন। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে হয়তো সভার অনুমতি দেবে না। সেক্ষেত্রে অন্যত্র সভা হবে। তবে এখনও সভার জায়গা নির্দিষ্ট হয়নি। অন্য় দিকে আগষ্টেই জেপি নাড্ডাও সাংগঠনিক বৈঠক করবেন।" একুশে জুলাইয়ের পাল্টা সভা না বললেও বিজেপির দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের থেকে কয়েকগুন বেশি লোক হবে তাদের সভায়।
লোকসভা নির্বাচনে মহানগরে পদযাত্রা করেছিলেন অমিত শাহ। সেদিন কলেজস্ট্রিটে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছিল। সেই রাতেই বিধান সরণির বিদ্যাসাগর কলেজে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল। এই ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে মূর্তি ভাঙার দায় চাপিয়েছিল। কিন্তু,নির্বাচনের আগের সেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এখন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও বটে। ফলে, অগাষ্ট মাসের সভায় অমিত শাহ কী বার্তা দেন তা অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
বিজেপি নেতৃত্ব একুশে জুলাইয়ের পাল্টা হিসাবে অমিত শাহর সভাকে চিহ্নিত না করলেও রাজনৈতিক মহলে কিন্তু এই আলোচনা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ রাজ্যে লোকসভার সাফল্যের পর আর কোনও জায়গা ছাড়তেই নারাজ পদ্মশিবির। কর্মী-সমর্থকদের মনোবল ধরে রাখতে সর্বভারতীয় সভাপতি এই সভা করবেন। পাশাপাশি এই সভায় শহিদ পরিবারের সদস্যদের হাজির করাতে পারে বিজেপি।