Advertisment

উদ্ধবকে শাহর ফোন, কী কথা হল?

১৯৯৫ সালে প্রথম বিজেপি-শিব সেনার জোট সরকার হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। ১৩৮টির মধ্যে শিব সেনা এবং বিজেপির আসন যথাক্রমে ৭৩ এবং ৬৫। এই হিসেব থেকে স্পষ্ট, মহারাষ্ট্রের জোট সরকার হলে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষমতা থাকবে শিব সেনার হাতেই। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শরিক দলগুলো নিয়ে রীতিমতো চাপে অমিত শাহ

মহারাষ্ট্রে শিব সেনার সঙ্গে বিজেপির জোট হবে কি না, তাই নিয়ে জল্পনার শেষ নেই রাজনৈতিক মহলে। বিগত বেশ কিছু মাস ধরেই বিজেপির সুরে সুর মেলাচ্ছেন না শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। অন্যদিকে গত বছর চার রাজ্যে বিধানসভায় বিজেপি-র ভরাডুবির পর অমিত শাহ একাধিকবার চেষ্টা করেছেন আসন্ন লোকসভার আসন রফা নিয়ে ঠাকরের সঙ্গে আলোচনায় বসতে। সেই লক্ষ্যে সোমবার বিজেপি প্রধান ফোন করেন শিব সেনা প্রধানকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ১৯৯৫ সালের আসন রফার ফর্মুলাতেই আস্থা উদ্ধবের। অর্থাৎ ২৮৮টির মধ্যে ১৬৯ টি তে লড়বে শিবসেনা, ১১৬টি তে বিজেপি।

Advertisment

১৯৯৫ সালে প্রথম বিজেপি-শিব সেনার জোট সরকার হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। ১৩৮টির মধ্যে শিবসেনা এবং বিজেপির আসন যথাক্রমে ৭৩ এবং ৬৫। এই হিসেব থেকে স্পষ্ট, মহারাষ্ট্রের জোট সরকার হলে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষমতা থাকবে শিবসেনার হাতেই।

সোমবার সন্ধেতেই শিব সেনার মুখপত্র 'সামনা'র একজিকিউটিভ এডিটর সঞ্জয় রাউতকে দেখা গিয়েছে দিল্লির অন্ধ্র ভবনে। অন্ধ্র প্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবীতে রাজধানীর অন্ধ্র ভবনে এক দিনের অনশনে বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁকে সমর্থন জানাতেই অনশন মঞ্চে গিয়েছিলেন রাউত। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির কাছে আসল বার্তাটি পৌঁছে গিয়েছে - বিজেপি-র সঙ্গে জোট না বাঁধলে বিকল্প রয়েছে শিবসেনার কাছে।

আরও পড়ুন: রাম মন্দিরে দেরি কেন? শিব সেনার নিশানায় ভিএইচপি-আরএসএস-কেন্দ্র

আসন্ন লোকসভার আসন রফা নিয়ে আলোচনা করতে জনতা দল (ইউনাইটেড) বা জেডিইউ-এর সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোরও দেখা করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। তারপরই অমিত শাহের ফোন আসে শিব সেনা প্রধানের কাছে। কিশোর লোকসভার ৪৮টির মধ্যে ২৮টি আসনে লড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ঠাকরেকে। সেই প্রস্তাবে এখনও সাড়া দেয়নি শিব সেনা। তবে এই বার্তা তারা সব দলকেই পৌঁছে দিতে পেরেছে, যে কেন্দ্রে যেই থাকুক না কেন, মহারাষ্ট্রে তাদের 'দাদাগিরিই' জারি রাখতে দিতে হবে।

টিডিপি, পিডিপি, রাষ্ট্রীয় লোক সমতা দলের মতো বেশ কিছু শরিক দল গত বছর এনডিএ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে, যার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রমাদ গুনছে বিজেপি। লোকসভার আগে শরিক দলগুলোকে নিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় রয়েছে তারা। অমিত শাহের মূল উদ্দেশ্য, লোকসভার আগে শরিকদের নিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদীকে তুলে ধরা। যাতে সরকার গঠন করার জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রথম ডাক পড়ে তাদেরই।

তবে শিবসেনার তরফে ১৯৯৫-এর আসন রফার ফর্মুলার কথা বলা হলেও শেষমেশ ১৪৫টি আসনেই রফা করবে শিব সেনা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

Read the full story in English

amit shah shiv sena
Advertisment