Advertisment

কমিশনে জমা দিলেন এক টাকা ভরা দুই বস্তা, মনোনয়নপত্র পেশ গুজরাটের শ্রমিকের

মহেন্দ্রভাই পাটনি নামে ওই শ্রমিকের ঝুপড়ি উন্নয়ন প্রকল্প তৈরির নামে ভেঙে দিয়েছে গুজরাট সরকার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Mahendrabhai Patni at his house in Gandhinagar

মহেন্দ্রভাই পাটনি

শাসন ব্যবস্থার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে গুজরাটের গান্ধীনগরের বছর ৩৫-এর শ্রমিক মহেন্দ্রভাই পাটনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন। গান্ধীনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন এমনিতেই এবার যথেষ্ট নজরকাড়া। কারণ, মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর পর থেকে বিজেপি গুজরাটে ক্ষমতায় থাকলেও মোদীর মত জাঁকিয়ে কেউ গুজরাট শাসন করতে পারেননি। তার ওপর এবার আম আদমি পার্টিও গুজরাটে ভালো ফল করার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতেও মহেন্দ্রভাই পাটনি যেন এক উদাহরণ তৈরি করলেন। এক টাকার কয়েনের দুটি বস্তা, যার মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার টাকা, তাই নিয়েই পাটনি তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গান্ধীনগর (উত্তর) কেন্দ্র থেকে তিনি পেশ করেছেন মনোনয়নপত্র।

Advertisment

কেন তিনি কয়েন দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন, সেই ব্যাপারে পাটনি বলেন, 'আমি একজন কর্মসংস্থানহীন শ্রমিক। আমাদের ঘর নেই, পানীয় জলের সুবিধা নেই, বিদ্যুৎ নেই। আমার আশেপাশের পরিবারগুলো আমাকে সমর্থন করতে সম্মত হয়েছে। আমি কয়েন জমা দিয়েছি। কারণ, আমার কাছে জমা দেওয়ার মতো যথেষ্ট টাকা নেই৷ যারা আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁদের থেকে কয়েন সংগ্রহ করতে আমি তিন দিন কাটিয়েছি।'

পাটনি জানিয়েছেন যে তাঁর বাড়িটি ৫২১টি ঝুপড়ির অন্যতম। পাঁচতারা হোটেল 'দ্য লীলা' তৈরি করতে এবং শহরের গান্ধীনগর রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার করার জন্য সরকার ওই ঝুপড়ি ভেঙে দিয়েছিল। পাটনি বলেন, 'আমরা কোরওরকম সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই বস্তিতে বসবাস করতাম।' সেই ঘর ভেঙে দেওয়ার পর গুজরাট সরকার এখনও কোনও ক্ষতিপূরণ দেয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি হোটেলের সিকিউরিটি কেবিনের বিপরীতে গোকুলপুরা ভাসাহাটে থাকেন। মহেন্দ্রভাই পাটনি পাটান জেলায় তাঁর গ্রামে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর, ১৯৯৯ সালে গান্ধীনগরে চলে আসেন।

আরও পড়ুন- ফের মোদীর দরবারে মমতা, কী নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা??

পাটনি বলেন, 'আমরা প্রথমে বস্তিতে থাকতাম। সেখানে আজ লবণের ঢিবি (ডান্ডি কুটির) দাঁড়িয়ে আছে। তারপরে আমরা ২০১০ সালে গান্ধীনগর রেলওয়ে স্টেশনের পিছনে থাকতে শুরু করি।' গান্ধীনগর রেল স্টেশনটি গান্ধীনগর রেলওয়ে এবং আরবান ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (GARUD), গুজরাট সরকার এবং ভারতীয় রেলওয়ে স্টেট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে পুনর্গঠিত হয়েছিল। এই প্রকল্প লীলা হোটেল নির্মাণেরই অংশ ছিল। সরকারি আধিকারিকরা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন যে, 'ঝুপড়িগুলো রেলের জমিতে ছিল। সেই জন্য তা সরাতে হয়েছে।'

Read full story in English

gujrat Assembly Election 2022 nominations
Advertisment