আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সরব হলেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী দাবি করেন, এই মুহুর্তে দেশ ক্রমশই কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের এই অবস্থার কথা সবারই জানা। প্রসঙ্গত, দেশে গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মোদীকে খোলা চিঠি লিখে এবার ‘কোপে’ বিশিষ্টরা। রামচন্দ্র গুহ, মণিরত্নম, অপর্ণা সেন-সহ প্রায় ৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনই খবর।
সেই প্রসঙ্গেই সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করেই বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধী বলেন, "প্রত্যেকেই জানেন, এই মুহুর্তে দেশে কী হচ্ছে। এটা কোনও লুকোনোর ব্যাপার নয়। আসলে শুধু দেশের মানুষ নয়, সারা বিশ্ব জানে কী চলছে এই দেশে। এটা পরিষ্কার যে দেশে কর্তৃত্ববাদী সাম্রাজ্য চলছে।" এরপরই ওয়েনারের সাংসদ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, "কেউ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বা সরকারের বিরোধিতা করলে বললেই হয় তাঁদেরকে ভিন্নভাবে আক্রমণ করা হবে অথবা তাঁদেরকে জেলে বন্দি করা হবে। গণমাধ্যমেরও স্বাধীনতা থাকছে না"।
আরও পড়ুন- ইমরান খান রাষ্ট্রসংঘে ‘রাবিশ’ কথাবার্তা বলেছেন, ভাজ্জি-শামির পরে আসরে মহারাজ
প্রসঙ্গত, দেশে গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মোদীকে খোলা চিঠি লিখে এবার ‘কোপে’ বিশিষ্টরা। রামচন্দ্র গুহ, মণিরত্নম, অপর্ণা সেন-সহ প্রায় ৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ২ মাস আগে আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝার আবেদনের ভিত্তিতে বিশিষ্টদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেন মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক সূর্যকান্ত তিওয়ারি। ওই আইনজীবী জানান, ‘‘গত ২০ অগাস্ট এ ব্যাপারে নির্দেশ দেন বিচারক’’। তিনি আরও জানান, "যেভাবে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়েছেন বিশিষ্টরা, তাতে দেশ ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে। এরপরই এফআইআর দায়েরের কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ।"
আরও পড়ুন- এনআরসি নিয়ে সমস্যা নেই হাসিনার
উল্লেখ্য, অসহিষ্ণুতা ও জয় শ্রীরাম ধ্বনি যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করছে। দেশব্যাপী এই অসহিষ্ণুতার আবহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়ে প্রথমে চিঠি লিখেছিলেন দেশের ৪৯ জন বিদ্বজ্জন। পরে বিহার আদালতে এই ৪৯ জন বিদ্বজ্জনের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়ে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ-সহ আরও কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই ৪৯ জনের প্রথম চিঠির পাল্টা হিসেবে ফের চিঠি লিখেছিলেন ৬১ জন বিশিষ্টরা।
Read the full story in English