এর আগে আম আদমি পার্টি ঘোষণা করেছিল বাংলায় গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দেবে। সোমবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে রাজ্যের কর্মতীর্থ নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে বলে সরব হয়েছে রাজ্যের আপ নেতৃত্ব। আদপে কর্মতীর্থে কোনও কর্মসংস্থান হয়নি বলেই আপের দাবি। বাংলায় আপের দায়িত্বপ্রাপ্ত সঞ্জয় বসু জানিয়ে দেন, দিল্লি মডেলকে সামনে রেখে এরাজ্য়ে নির্বাচনে তারা লড়াই করবে।
রাজ্যে গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থানের জন্য কর্মতীর্থ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। বাংলার নানা প্রান্তে কর্মতীর্থ তৈরি করার পর বেশ কিছু একেবারে বন্ধ রয়েছে। সোমবার সঞ্জয় বসু বলেন, কর্মতীর্থ নিয়ে রাজ্য সরকার থেকে দাবি করছে বাস্তবে তা থেকে অনেক দূরে। সাধারণ মানুষের পয়সা জলে গেল। চরম ভাঁওতাবাজি। যে সব জায়গায় কর্মতীর্থ চালু হয়নি সেখানে আমরা প্রতিবাদে নামব। বিক্ষোভ দেখাব।
পর পর দুবার দিল্লিতে রাজ্য সরকারে রয়েছে আপ। সম্প্রতি আম আদমি পার্টি পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসন নিয়ে মসনদে বসেছে। বাংলায় এর আগেও সংগঠন বিস্তারে নেমেছিল আপ। তবে সেভাবে নির্বাচনী লড়াইতে তাদের দেখা যায়নি। এবার বাংলায় গ্রাম পঞ্চায়েত অর্থাৎ তৃণমূল স্তরের নির্বাচনে হাতেখড়ি হতে চলেছে আপের।
মালদার বামনগোলা, উলুবেড়িয়া, মেদিনীপুর, গঙ্গারামপুরের বিশ্রাইল সহ ননা কর্মতীর্থ প্রকল্পের পরিকাঠামো তৈরি হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে আপ দাবি করেছে। আপের বক্তব্য, এই প্রকল্পগুলিতে প্রায় সাড়ে সাতশো কোটি টাকা ব্য়য় হয়েছে। এই কর্মতীর্থগুলি তৈরি করতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেক্ষেত্রে তাঁরা গ্রামীণ প্রকল্পের ইস্যুকে হাতিয়ার করতে চলেছে। আপ জানিয়েছে, কর্মতীর্থ শুধু নয় আর গ্রামীণ প্রকল্প যেগুলি শুধু পরিকাঠামো করেই দায় সেরেছে, সেগুলো নিয়েও আন্দোলনে নামতে চলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল।
দিল্লিতে কেজরিওয়াল সরকার নানা জনমুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে দাবি আপ নেতৃত্বের। আপ নেতৃত্বের দাবি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে কর্মসংস্থান সব ক্ষেত্রেই প্রকল্প রূপায়নে দিল্লি দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সব রাজ্যে যেখানে ঘাটতি বাজেট পেশ করে সেখানে দিল্লিতে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা উদ্বৃত্ত। সেক্ষেত্রে দিল্লি মডেলই আপের কাছে তরুপে তাস। আপ নেতা সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, দিল্লি মডেল নিয়ে এরাজ্য়ে নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়বে তাঁরা। আপে নেতা বলেন, রাজ্যে দুর্নীতি কমলেই হিংসা কমবে।