ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের কর্মী হাফিজুল মোল্লাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল কংগ্রেসের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলামের জামিনের আবেদন নাকচ করল বারুইপুর মহকুমা আদালত।
সরকারপক্ষের আইনজীবী এদিন আরাবুলের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেননি। তা সত্ত্বেও নিহতের পরিবারের তরফে দুই আইনজীবীর সওয়ালের উপর ভিত্তি করে আরাবুলের জামিন দিতে অস্বীকার করেন বিচারক। এদিন সব পক্ষের আইনজীবীদের মতামত শোনার পর বেশ কিছুক্ষণের জন্য রায়দান স্থগিত রাখেন বারুইপুর মহকুমা আদালতের বিচারক।
বুধবার আরাবুলকে আলিপুর জেল থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তবে তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ হবে না, এই আশায় আদালত চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা। বিচারকের এই রায়ে হতাশ তারা।
আরও পড়ুন, Bhangar Update: আরাবুল খুনী নয়, আদালতে হলফনামা
অভিযুক্তের আইনজীবীরা আদালতে বলেন, তদন্তে আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে তেমন কোনও তথ্যপ্রমাণ এখনও পর্যন্ত পায়নি পুলিশ৷ এর পাশাপাশি নিহতের স্ত্রী নিজে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে আরাবুল এই খুনের ঘটনায় জড়িত নয়। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদ উৎসব এবং আরাবুল ইসলামের অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। অন্যদিকে, অভিযোগকারীর আইনজীবীরা তাঁদের সওয়ালে বলেন, ভাঙড়ে নির্দল সমর্থকের খুনের ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর পরিবার এখনও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। অভিযোগকারী আরাবুলবাহিনীর ভয়ে অতি গোপনে আদালতে এসেছে।
অভিযোগকারীর আইনজীবী কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ মিস্ত্রির বক্তব্য, আরাবুল ইসলামকে জামিন পাইয়ে দেওয়ার জন্যই সক্রিয় সরকার পক্ষের আইনজীবী। সরকারি আইনজীবীর বিরুদ্ধে বিচারকের কাছে অভিযোগ জানাতে চলেছেন তাঁরা।
সরকারি আইনজীবী কার্যত জামিনের আবেদনের পক্ষে দাঁড়ালেও এদিনও আদালত সে আবেদন খারিজ করে দেওয়াকে তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷
গত ১১ মে পঞ্চায়েত ভোটের আগে নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে ডাকা মিছিলে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন হাফিজুল। এর পরপরই এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আরাবুল ইসলামকে। এর কিছুদিন পর চাঞ্চল্যকরভাবে নিহত হাফিজুলের স্ত্রী হলফনামা দিয়ে জানান, তাঁর স্বামীর খুনের ঘটনায় আরাবুল ইসলাম জড়িত নয়।