মুকুল-অর্জুনকে কিস্তিমাত করেছে তৃণমূল। হাতের বাইরে চলে যাওয়া হালিশহর পুরসভা ফের তালুবন্দি করেছে ঘাফুল শিবির মঙ্গলবার এমনই দাবিই করেছেন ববি হাকিম। ভয়-সন্ত্রাস দেখিয়ে পুরসভা দখলের অভিযোগ উঠেছে মুকুল রায় ও সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে। তবে পুরচেয়ারম্য়ান-সহ আট কাউন্সিলরের 'ঘর ওয়াপসি' নিয়ে ব্যারাকপুরে বিজেপি সাংসদ বল ঠেলেছেন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে অর্জুন সিং এদিন বলেন, "হালিশহরের চেয়ারম্যান কেন তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়েছে সেটা মুকুলদা বলতে পারবে। আমি ওকে নিয়ে যাইনি। আমি ওকে জয়েন করাইনি"।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে একদা তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা অর্জুন সিংয়ের সন্ত্রাস নিয়ে সরব হয়েছেন খোদ পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ববি হাকিম। তাঁর অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে একের পর এক পুরসভা দখল করে নিচ্ছে পদ্মশিবির। এর নেতৃত্বে রয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। মন্ত্রীর অভিযোগের জবাবে অর্জুন এই পরিস্থিতির জন্য় উল্টে কটাক্ষ করেন রাজ্য প্রশাসনকে। তিনি বলেন, "আমি যে সন্ত্রাস চালাচ্ছি, তা ওঁর সরকার কী করছে। সারা বাংলাতে কাটমানির জন্য লোক চেয়ারনম্যান ও কাউন্সিলরকে ধরে পেটাচ্ছে। সেটাও কি আমার সন্ত্রাস? কাটমানির জন্য তো রোজ মারামারি হচ্ছে"।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রী খুব ব্যস্ত, ডাকলে যাব: সব্যসাচী
উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনায় একাধিক পুরসভার ক্ষমতা তৃণমূল থেকে বিজেপির হাতে চলে গিয়েছে। মাস দেড়েক আগে হালিশহর পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ওই পুরসভায় মোট কাউন্সিলর রয়েছেন ২৩ জন। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি অনুযায়ী, ওই পুরসভার মোট ১২ জন কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে। এদিকে ওই পুরসভার উপপৌরপ্রধান দেবাশিষ দত্তর চ্য়ালেঞ্জ, "কোনওভাবেই পুরসভার ক্ষমতা তৃণমূলের হাতে যাবে না। বিজেপিই ক্ষমতায় থাকবে।"
উপপৌরপ্রধানের দাবি, "পুরমন্ত্রী বলুন কে কে গিয়েছে। নাম ধরে বলুক। আমাদের কাছে খবর রয়েছে, ৭ জন গিয়েছে। এদিন যোগ দেওয়া ৭জনের মধ্যে তিনজন তৃণমূলেই ছিলেন। ওরাই জানে আর ৪ জন কারা কারা রয়েছে!" দেবাশিষবাবু আরও বলেন, "আমি মনে করি পুরসভা আমদেরই থাকবে। আমাদের সঙ্গে ১২ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। অনাস্থা আনতেই পারে। তবে বোর্ড আমাদেরই থাকবে"।