প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ও সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকে বুধবার হাইকোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ, কালো পতাকা দেখানো হয়েছে। তবে এই ক্ষোভ-বিক্ষোভ যে শুধু চিদাম্বরমের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে এমন নয়। কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্বও যদি এখানে এসে তৃণমূলের দালালি করে তাহলে একই ভাবে স্বাগত জানানো হবে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। তাঁদের এই বিক্ষোভকে সরাসরি সমর্থন জানিয়েছেন রাজ্য কংগ্রেস নেতা প্রবীণ আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ।
মেট্রো ডেয়ারির কেনা-বেচায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী। ওই মামলার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে সওয়াল করেছেন কংগ্রেস নেতা আইনজীবী পি চিদাম্বরম। কেন এমন একটা দুর্নীতির মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে এই সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা সওয়াল করছেন তা নিয়েই মূলত বিরোধ। কৌস্তভের বক্তব্য, 'চিদাম্বরম আগে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করুন। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে দালালি করবেন।'
এদিকে তরুণ তুর্কি কংগ্রেস নেতা কৌস্তভদের বিক্ষোভকে স্বাগত জানিয়েছেন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ। অরুণাভবাবু বলেন, 'এটা পুরোপুরি নৈতিকতার অভাব। চিদাম্বরম, কপিল সিব্বাল, অভিষেক মনু সিংভি প্রত্যেকে বারে বারে পযসার জন্য তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ায়। যেখানে আবার কংগ্রেসের স্বার্থ জড়িত। বিক্ষোভ দেখিয়েছে ঠিকই আছে। চিদাম্বরমের আসা উচিত নয়।' এই তিন আইনজীবীকে নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব সরব। বামপন্থী আইনজীবীদেরও কখনও দেখা যায়নি পয়সার বিনিময়ে নিজের দলের বিরুদ্ধে মমলা লড়তে। অরুণাভ ঘোষ বলেন, 'আমি নিজের দলের বিরুদ্ধে পয়সার বিনিময়ে মামলা করি না। তৃণমূলের বিভিন্ন ইউনিয়নের গরীব ছেলেদের জন্য বিনে পয়সায় মামলা করি। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়াংসু আচার্যরা কখনও এমন কোনও কাজ করেননি। কংগ্রেসের ওই তিনজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উকিল হয়ে গিয়েছেন।'
তবে বুধবারের ঘটনাই যে শেষ তা কিন্তু নয়। এরপরও যদি সর্বোচ্চ কংগ্রেস নেতৃত্বের যে কেউ তৃণমূলের হয়ে দালালি করতে আসে এমন ঘটনা ঘটবে, জানিয়েছেন কৌস্তভ। প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র কৌস্তভ বলেন, 'তৃণমূলের দালালি করতে যে আসবে তাঁকেই এই ভাবে স্বাগত জানানো হবে। সর্বোচ্চ নেতা হলেও ছাড় পাবেন না। সর্বভারতীয় কংগ্রেস এখন কোনওরকম ভাবে তৃণমূলকে জমি ছাড়বে না। চিদাম্বরমও গোয়ায় গিয়ে একথা বলেছেন। তবে তৃণমূলের দালালি করতে গেলে এর ফল সবাইকে ভুগতে হবে। বিজেপি-তৃণমূল যখন একই তখন তো আরও আসাই উচিত হয়নি।'