মরুরাজ্য়ের রাজনীতিতে উথালপাতাল অবস্থা। মঙ্গলবার কংগ্রেসের সঙ্গে শচীন পাইলটের সম্পর্কে কার্যত ছেদ পড়েছে। রাজস্থানের উপমুখ্য়মন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে যেভাবে অপসারিত করা হয়েছে পাইলটকে, তাতে 'চটেছেন' শচীন অনুগামীরা। পাইলট-হীন গেহলট সরকার এখন খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে। তবে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কয়েক মাস আগে মধ্য়প্রদেশে দলবদলের যে ছবি দেখেছিল দেশের রাজনীতি, রাজস্থানে তা পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ১০৭ বিধায়ক। সেইসঙ্গে কংগ্রেসের সমর্থনে রয়েছেন ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির ২, সিপিএমের ২, ও আরএলডি-র ১ বিধায়ক। এছাড়া রয়েছে ১২ নির্দলের সমর্থন। অন্য়দিকে, বিজেপির হাতে রয়েছে ৭২ বিধায়ক। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির ৩ ও এক নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।
পাইলটকে নিয়ে যখন কংগ্রেসের অন্দরে টানাপোড়েন চলছে, সেই পরিস্থিতিতে সোমবারই কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ১০৯ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে গেহলট শিবিরে। কংগ্রেসের দাবি অনুযায়ী, নিরাপদেই রয়েছে গেহলট সরকার। সে রাজ্য়ে সরকার গড়তে ম্য়াজিক ফিগার ১০১।
আরও পড়ুন: গেহলটের ককপিট থেকে বাদ পাইলট, ক্ষুব্ধ শচীন অনুগামীরা
এদিকে, দলের হুইপ উপেক্ষা করে সোমবার গেহলটের বাসভবনে দলের পরিষদীয় বৈঠক এড়িয়েছেন ১৮ জন বিধায়ক। যদিও তাঁদের মধ্য়ে এক বিধায়ক মাস্টার ভানওয়ারালাল মেঘওয়াল শারীরিক অসুস্থতার জন্য় বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। অন্য়দিকে, কংগ্রেসের সমর্থক ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির প্রেসিডেন্ট মহেশভাই বাসবা হুইপ করে দলের দুই বিধায়ককে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তাঁরা গেহলট, পাইলট বা বিজেপিকে সমর্থন না করেন।
অন্য়দিকে, কংগ্রেসের ১০৭ বিধায়কের মধ্য়ে ১৭ জন পাইলটের সঙ্গে রয়েছেন। তাতেও গেহলট সরকারকে টলানো কার্যত অসম্ভব। যদিও পাইলট শিবিরের দাবি, তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন প্রায় ৩০ বিধায়ক। এতেও, কংগ্রেসর সরকারকে দুরমুশ করা মুশকিল। কারণ, বিজেপি ও কংগ্রেসের সম্মিলিত শক্তির পার্থক্য় ৫০। সেক্ষেত্রে রাজস্থানে মধ্য়প্রদেশের পুনরাবৃত্তি ঘটা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন