৬ বছর পর শুভেন্দু-গড় নন্দীগ্রামে সভা করেই নির্বাচনী আবহে আলোড়ন ফেলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দেন, নন্দীগ্রাম থেকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন তিনি। আর এরপর শুরু রাজনৈতিক তড়জা।
ওয়াকিবহাল মহলের মত, নন্দীগ্রাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য 'লাকি' এলাকা। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসানের নেপথ্যে নন্দীগ্রামের গুরুত্ব যে অপরিসীম তা তৃণমূল সুপ্রিমো জানেন। তাই শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করতেই নন্দীগ্রাম যাতে 'বেহাত' না হয় তাই ফের 'লাকি' এলাকায় ফিরলেন মমতা।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, "নন্দীগ্রাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনের একটি সংবেদনশীল রাজনৈতিক অধ্যায়। তিনি স্বাধীন ভারতের অন্যতম একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন যিনি নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর লড়াইয়ের জন্য ২৬ দিনের অনশন করেছিলেন। কেন্দ্র এবং রাজ্যপাল তাঁকে আবেদনও করেছিলেন অনশন তুলে নেওয়ার জন্য। কিন্তু কৃষকদের যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল সেই কারণে তিনি নারাজ ছিলেন। তিনি ছিলেন কৃষকদের হয়ে লড়াই করে যাওয়ার একমাত্র স্বর।”
আরও পড়ুন, ‘অসুর’ সম্প্রদায় থেকে এসেছেন মমতা, জিনেও সমস্যা আছে, ‘কদর্য’ আক্রমণ বিজেপি নেতার
সুখেন্দু শেখর এও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই সত্য প্রমাণিত হল যখন সকলে তাঁকে সমর্থন করতে শুরু করে। আদালতও তাঁর অবস্থানের পক্ষে রায় দেয়। জানান হয় মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারকে ভূমি অধিগ্রহণ আইনটিও সংশোধন করতে হয়েছিল। ”
তবে কি নন্দীগ্রাম থেকে মমতার লড়াই একেবারে 'পাকা'? দীর্ঘদিনের কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে লড়াই করবেন না ভূমিকন্যা? এবার সংশয় প্রকাশ হল রাজ্যসভার সাংসদের কথায়। তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবারও বলেননি তিনি ভবানীপুর থেকে লড়াই করবেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি নরেন্দ্র মোদী বদোদরা ও বারাণসী এবং রাহুল গান্ধীর আমেঠি ও ওয়ায়নাড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা উল্লেখ করে বলেন যে বাংলায় দুটি আসন থেকে লড়াই করা নতুন নয়। ১৯৬৭ সালে অজয় মুখোপাধ্যায় তমলুক ও আরামবাগ থেকে লড়াই করেছিলেন।
যদিও এটা ঠিক মাস্টারস্ট্রোক নেওয়ার দিন কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেই জানান, ভবানীপুর 'বড় বোন' আর নন্দীগ্রাম তাঁর 'ছোট বোন'। মমতা বলেন, ‘আমি ভবানীপুরকেও ভালোবাসি। ওখানেও আমি ভালো প্রার্থী দেব। পারলে দু’জায়গাতেও দাঁড়াবো। কিন্তু, জানবেন নন্দীগ্রামে দাঁড়াচ্ছিই।’
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন