Advertisment

বৈশাখীর কথায় ‘ব্যথা’ পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

২৩ জুলাই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, ওই দিনের পরই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আর এর পিছনে নাকি রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
partha chatterjee

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। এক্সপ্রেস ফাইল ছবি।

শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া তোপের জবাব দিলেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শোভনের বাড়ি যাওয়ার প্রসঙ্গটি বৈশাখীর সাংবাদিক বৈঠকে উঠে আসায় 'ব্যথা' পেয়েছেন বলে জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "মাথা ঠান্ডা রেখে বিচার করুন। দেখুন না, কে কি করছে। কেন সাম্প্রদায়িক কথা উঠছে? আমাদের কাছে অভিযোগ করলে, আইনের বাইরে না গেলে, ব্যবস্থা নেব। তবে তিনি যেন নিজে প্রধান হয়ে আইন না ভঙ্গ করেন। আমার এখনও আস্থা আছে। কারণ, ছোটরা ভুল করতে পারে, বড়রা ভুল করলে মানায় না।"

Advertisment

প্রসঙ্গত, ২৩ জুলাই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, ওই দিনের পরই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আর এর পিছনে নাকি রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী। পার্থর জবাব, "কেউ কারও পরিচিত হতে পারে। যদি মনে হয় সেই পরিচয়কে নিয়ে সরকার পিছনে লাগছে সেটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন কিছু সময় নেই যে এরকম একজন শিক্ষয়িত্রীর ওপর নজরদারি করবেন। এটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে ছোট করা হয়। একইসঙ্গে অসম্মানিতও করা হয়।"

আরও পড়ুন- বৈশাখীর ‘চাকরি খেলেন’ মমতা! শোভনের পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে ইস্তফা ঘোষণা

কেন ২৩ জুলাই শোভনের বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব এদিন সে ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। পার্থবাবু জানান, "শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে আমি শোভনের বাড়িতে যাইনি। আমার একটা রাজনৈতিক পরিচয় আছে। ওর সঙ্গে আমার পরিচিতি আজকের নয়। শোভনকে ছোটবেলা থেকে রাজনীতি করতে দেখেছি। শোভন যখন ছাত্র পরিষদ করত তখন থেকে পরিচয়। ও নিষ্ক্রিয় আছে, তাই আমি বলেছিলাম সক্রিয় হতে। রাজনীতি করতে বলেছিলাম। এটা আমি দাদা হিসাবে বলেছিলাম। অন্য় দিকটার সঙ্গে রাজনীতিকে কেন জড়িয়ে দিচ্ছে জানি না। এটা কোনও পাস-ফেলের বিষয় নয়।" তাঁর কথায়, "আমার দফতর শিক্ষা। তাঁর পরিচিত লোক শিক্ষা দফতরে কাজ করেন। তাই দুটোকে মিলিয়ে দিচ্ছেন। তা না হলে অনেকেই তো তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন।"

আরও পড়ুন- ‘যদি বেঁচে থাকি কাল সব বলব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমার সবথেকে বেশি ক্ষতি করেছেন’

বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে চরম সিদ্ধান্তের কথা জানান শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষার পদ থেকে এদিন ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকালই আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন বলে এদিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানিয়েছেন বৈশাখী। এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পাশে বসে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বৈশাখী বলেন, ‘‘দিদিকেই বলতে চাই। আপনি কি সত্যিই নির্দেশ দিয়েছেন যে, সাম্প্রদায়িক তকমা দিয়ে চাকরি খেয়ে নেবেন! নাকি আপনার নাম করে অন্য কেউ এসব বলছেন’’। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বৈশাখী। কাঁদতে কাঁদতে বৈশাখী এদিন বলেন, ‘‘আমার সম্মান ভূলন্ঠিত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করব, উষ্মা হলে, ক্রোধ হলে বকুন। কিন্তু, কেন আপনি এই অন্যায় অবিচার করছেন?’’ বৈশাখীর পাশে থেকে এদিন নিজের দলের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন একদা মমতা ঘনিষ্ঠ শোভন চট্টোপাধ্যায়ও।

Advertisment