Advertisment

তৃণমূল নেতাকে ‘গুলি করে খুন’, প্রতিবাদে রবিবার ব্যান্ডেল বনধ

হুগলি জেলা তৃণমূল নেতা তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘বিজেপির দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে। এলাকায় দলের সংগঠন দেখত দিলীপ। রবিবার ব্যান্ডেলে ২৪ ঘণ্টার বনধ ডেকেছি আমরা’’।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
dilip ram, দিলীপ রাম

তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম। ছবি: ফেসবুক।

হুগলির ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনে দিলীপ রাম নামে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ঘটনার পরই দিলীপকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতায় আনার পথে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার ২৪ ঘণ্টার ব্যান্ডেল বনধ ডেকেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisment

এ ঘটনা প্রসঙ্গে হুগলি জেলা তৃণমূল নেতা তপন দাশগুপ্ত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘‘বিজেপির দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে। এলাকায় দলের সংগঠন দেখত দিলীপ। কাল ব্যান্ডেলে ২৪ ঘণ্টার বনধ ডেকেছি আমরা’’। অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির সায়ন্তন বসু পাল্টা বলেন, ‘‘দিলীপ রাম এলাকার সমাজিরোধী। সিন্ডিকেট নিয়ে দলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জেরে হয়েছে। বিজেপি জড়িত নয়’’।

আরও পড়ুন: অশান্ত মঙ্গলকোট, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলি-বোমাবাজি

ঠিক কী ঘটেছিল?

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনের ৫নং প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন দিলীপ রাম। সেসময়ই কয়েকজন এসে আচমকা দিলীপ রামকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তৃণমূল নেতার মাথার পিছনে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে কলকাতায় আনার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, এ ঘটনায় হাত রয়েছে বিজেপির। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই দিলীপের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ শাসক শিবিরের। তৃণমূলের দাবি, ওই এলাকায় দলের সংগঠনের দায়িত্বে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দিলীপ। তাই তাঁর উপর হামলা চালিয়ে দলের সংগঠনের ভিত নড়িয়ে দেওয়াই বিজেপির টার্গেট ছিল বলে দাবি করেছে শাসকদল। তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘‘যে দুষ্কৃতীরা এ কাজ করেছে, তাদের নাম আমি ৪ মাস ধরে সিপি, আইসিকে বলেছি, কোনও পদক্ষেপ করেনি। ওরা এটাকে ভাটপাড়া বানাতে চাইছে’’।

উল্লেখ্য, এবার লোকসভা নির্বাচনে হুগলিতে জোর ‘ধাক্কা’ খেয়েছে তৃণমূল। হুগলিতে এবার জয়ের হাসি হেসেছেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। যার জেরে অনেকটাই চাপে শাসকশিবির। লোকসভা নির্বাচনের সময়ও হুগলি কেন্দ্রে শাসক-বিরোধী সংঘাতের ছবি সামনে এসেছিল। ভোটের দিনও ধনেখালি-সহ কয়েকটি এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছিল। ক’দিন আগে অশান্তির জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গুড়াপ। বুধবার রাতে বিজেপি সমর্থকদের দেওয়া ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ঘিরে গুড়াপে সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল-বিজেপি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের বিরুদ্ধেই গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। এর পরই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হুগলির গুড়াপ। পুলিশের বিরুদ্ধে এবং তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতারির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গুড়াপ, ধনেখালি-সহ একাধিক জায়গা। টায়ার জ্বালিয়ে সেদিন রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

bjp tmc
Advertisment