গত কয়েকদিন ধরে চর্চায় বিজেপির অন্তর্কলহ। কোন্দল এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে প্রাক্তন এবং বর্তমান রাজ্য সভাপতি একে অপরকে প্রকাশ্যে খোঁচা দিচ্ছেন। কখনও অভিজ্ঞতা নিয়ে কখনও সংগঠন নিয়ে। এর মধ্যেই জেলায় জেলায় ইস্তফার হিড়িক পদাধিকারীদের। একের পর এক নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ে মুষড়ে পড়েছে নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা। তার মধ্যে আত্মসমালোচনা শোনা গেল রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখে। বলে ফেললেন, এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার যোগ্য হয়ে ওঠেনি বিজেপি।
সম্প্রতি মেদিনীপুরে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে বেফাঁস কথা বলেছেন সুকান্ত। দলের ফলাফলের পর্যালোচনা করতে গিয়ে বলেছেন, "কর্মীদের বলছি, কিছু বলার থাকলে উপরে বলবেন। আর আমরা নিজেরাই চায়ের দোকানে গিয়ে অন্যের সম্পর্কে বলছি। মানুষ অত বোকা নয়। মানুষ সব দেখে। আমরা ক্ষমতায় আসার যোগ্য হইনি।"
উল্লেখ্য, যখন একথা বলছেন সুকান্ত তখন পাশেই বসে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সামনেই তিনি বললেন, "আমরা ২০০ আসনের স্বপ্ন নিয়ে এগোলাম। সরকার গড়ছি, সরকার গড়ছি, এমন একটা হাইপ উঠল। লোককে স্বপ্ন দেখানোর কথা ছিল। উল্টে নিজেরাই স্বপ্ন দেখে সেই স্বপ্নের মধ্যে নাচতে শুরু করলাম। তার পর যা হয়। ধপাস করে নীচে পড়ে গেলাম।"
আরও পড়ুন এবার ‘বেসুরো’ অর্জুন, মোদী সরকারের বিরুদ্ধেই চরম আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদের
তৃণমূলের কাছ থেকে দেখে শেখার আছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি। বলেছেন, "তৃণমূলকে দেখুন। গোটা বছর নিজেরা মারামারি করছে। কিন্তু যখন ভোট আসে, সব চোর একসঙ্গে হয়ে যায়। ওরা জানে, ভোটে না জিততে পারলে, তোলা তুলতে পারব না। আর আমরা উল্টোটা করছি। সারা বঠর একসঙ্গে হাত ধরে ভারত মাতা কি জয় বলছি। আর ভোটের সময় যে প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেল, শুরু হয়ে গেল কী করে তাঁকে হারানো যায়। এ ভাবে ভোটে জেতা যায় না।"