সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। যার বিরোধিতা করল রাজ্য সরকার। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা রুজু হয়েছে। সম্ভবত আগামিকাল, বুধবারই এই মামলা শুনানি হবে।
প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুতে তাঁকে সিআইডির তলব, কাঁথি পুরসভার ত্রিপল চুরি মামলা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের ৫টি এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই আবেদনের শুনানিতে গতকাল শুভেন্দুকে বড়সড় স্বস্তি দেয় আদালত। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী খুনের অভিযোগ, পাশকুঁড়ায় হার ছিনতাই ও নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষের মামলায় স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। তবে পুলিশ যদি মনে করে তদন্তের স্বার্থে শুভেন্দুর সুবিধামতো জায়গায় গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
আরও পড়ুন- ‘কোনও মামলাতেই গ্রেফতার নয় শুভেন্দুকে’, স্পষ্ট জানাল হাইকোর্ট
পাশাপাশি চিচারপতি রাজশেখর মানথার নির্দেশ, তমলুকে পুলিশকে হুমকির মামলা এবং মানিকতলায় চাকরির নামে প্রতারণার আরও দু'টি মামলা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। ওই দু'টি মামলাই চলবে।
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়ে খুশি নয় নবান্ন। রাজ্যের দাবি, শুভেন্দুকে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের 'রক্ষাকবচ' নির্দেশ মানা যায় না। এতে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যবত হতে পারে। ফলে এ দিন হাইকোর্টের ডিভইশন বেঞ্চে গেল সরকার।
এপ্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "রাজ্য সরকার কোর্টে বেশিরভাগ সময়ই কানমোলা খাচ্ছে। তারপর অন্য কোর্টে যাচ্ছে। এতে নৈতিকতায় হার হচ্ছে। নিয়ম-নীতি মেনে কাজ হচ্ছে না। বার বার একই হতে থাকলে সরকার ও সরকারের প্রধানের উপর সন্দেহ তৈরি হয়।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন