/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/04/Mamata-Dhankhar-1-1.jpg)
শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বহুদিন পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল
শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বহুদিন পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মমতার নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে চলেছে বাংলা, এমন মন্তব্য করে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। গত কয়েক মাস ধের রাজ্য-রাজভবন সংঘাতে কার্যত জল ঢেলে দিয়েছেন ধনকড়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীও এদিন সুযোগ বুঝে মোক্ষম মন্তব্য করেন। শিল্প সম্মেলনের ভরা মঞ্চে বিশেষ বার্তা দিলেন রাজ্যপালকে।
এদিন বক্তৃতার একেবারে শেষে রাজ্যপালের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, "রাজ্যপাল স্যর, আপনার মাধ্যমে একটা কথা বলেত চাই। কিছু মনে করবেন না। মহামান্য রাজ্যপালকে সমস্ত শিল্পসংস্থার তরফে একটা কথা বলছি। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতা পেতে চাই। আর রাজ্যপালদের কনফারেন্সে একটা কথা অবশ্যই বলবেন প্লিজ। শিল্পপতিদের যেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরক্ত না করা হয়।"
এদিন শিল্প সম্মেলনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী হাতজোড় করে আবেদন রাখেন রাজ্যপালের কাছে। ধনকড়ও কিছুটা অবাক হয়ে হেসে ফেলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতে শুরু করেছে। রাজ্যপালের মাধ্যমে তিনি কেন্দ্রের উদ্দেশে বার্তা দিলেন এটা বোঝার আর বাকি নেই কারও। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পাল্টা কিছু বলার সুযোগও পাননি রাজ্যপাল। কারণ একেবারে বক্তৃতার শেষে মমতা এই কথা বলেন।
এর পর দুজনে সৌজন্য বিনিময় করেন। এদিন অনুষ্ঠানের শুরু এবং শেষ ইতিবাচক ভাবেই দুজনের কথা হয়। উল্লেখ্য, ইদানীং দেশের বহু জায়গায় শিল্পপতিদের একাংশকে কখনও সিবিআই, কখনও ইডি বা আয়কর দফতরের নোটিস পাঠানোর খবর সামনে আসে। অভিযোগ ওঠে প্রায়শই, তদন্তের নামে শিল্পসংস্থাকে ভয় দেখাচ্ছে কেন্দ্র। চাপে রাখতে চাইছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সেই অভিযোগ ফের সামনে চলে এল।
এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি এদিন বলেন, "লগ্নির আদর্শ জায়গা বাংলা। পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক হাব হল বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে বাংলা। উন্নয়নের দিকে এগোচ্ছে বাংলা।" বিগত দিনের বহু বিবাদ, সংঘাতকে দূরে রেখে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় রাজ্যপালকে।