ভারতী ঘোষকে নতুন দায়িত্ব দিল রাজ্য বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি করা হল ভারতী ঘোষকে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ঘাটালে ভোটে লড়েছিলেন একদা মমতা ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। যদিও ঘাটাল থেকে হেরে যান ভারতী। শুধু ভারতী নন, মাফুজা খাতুনকেও একই পদে বসানো হল। জঙ্গিপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মাফুজা। তিনিও ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। ভোটে লড়ার সুবাদেই মাফুজা ও ভারতীকে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি করা হল বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অশিক্ষিতকে ভয় পাই না: ভারতী ঘোষ
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে ভারতী ঘোষ বলেন, ‘‘এটা পদ নয়, দায়িত্ব। দল আমার উপর যে ভরসা রেখেছে, তাতে আমি খুবই খুশি। আমার সমস্ত কিছু দিয়ে এই দায়িত্ব যাতে পালন করতে পারি, সেদিকে সচেষ্ট হব’’।
আরও পড়ুন: ‘সর্বনাশ করে দেব…আমি খুন করলে, বংশ লোপ করে দেব’, হুমকি দিলীপের
আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের ইঙ্গিত? বিজেপি-র সাংগঠনিক নির্বাচনে গরহাজির শোভন-বৈশাখী
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভাল মেয়ে’ ভারতী ঘোষ। উনিশের নির্বাচনে ঘাটাল থেকে লড়েন ভারতী। লোকসভা নির্বাচনের সময় বার বার খবরের শিরোনামে এসেছেন ভারতী। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের সকাল থেকেই ভারতী ঘোষকে ঘিরে তেতে ছিল বঙ্গ রাজনীতি। সাতসকালেই একটি বুথে ভারতীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছিল। পড়ে গিয়ে ভারতীর পা থেকে রক্ত বেরোয় বলে অভিযোগ করেছিলেন ওই বিজেপি নেত্রী। এমনকি, তাঁকে কাঁদতেও দেখা যায়। ভোটের দিন বেলা গড়াতে ভারতী ঘোষকে ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। শেষমেশ তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেবের কাছে ভোটে হেরে যান ভারতী। যদিও ভোটে হারার পর ভারতী অভিযোগ করেছিলেন, ছাপ্পা করেই জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী দেব। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে এই প্রাক্তন দুঁদে আইপিএস বলেছিলেন, ‘‘আমি মনে করি আমার নৈতিক জয় হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে জয়টা হচ্ছে না। কারণ, আমি রাষ্ট্রের সন্ত্রাসের শিকার। কেশপুরে কীভাবে সন্ত্রাস চলেছে, সকলে দেখেছেন। বুথ জ্যাম করা হয়েছে, আমাকে বহু বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলাম কমিশনে। দুর্ভাগ্যবশত আমার কথা কেউ শোনেননি। কমিশন কিছু করেনি’’। প্রতিপক্ষ দেবকে নিশানা করে ভারতী বলেছিলেন, ‘‘ওঁর নাম বদলে এবার ছাপ্পা অধিকারী করা হোক’’।
অন্যদিকে, সংখ্যালঘু মুখ হিসেবে মাফুজা খাতুনকে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতির পদে বসানো রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েন মাফুজা। যদিও শেষমেশ হেরে যান তিনি। অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক করা হল রথীন বসুক। জনসম্পর্কের দায়িত্বে সায়ন্তন বসু ও অমিতাভ মৈত্র। জনজাগরণের দায়িত্বে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবজিৎ সরকার।