শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পর কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সব্যসাচী দত্ত? তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ‘যাব যাব করছে’ সব্যসাচী দত্ত, এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেত্রী তথা একদা মমতা ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। উল্লেখ্য, কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের বিজেপিতে যোগদানের দিনই বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়রের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা ছড়িয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত সেদিনের মতো সেই জল্পনা সত্যি হয়নি। বরং সব্যসাচী ইদানীং বলছেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন। লুচি-আলুর দম পর্বের পর থেকেই সব্যসাচীর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনায় মশগুল বঙ্গ রাজনীতি। কিছুদিন আগে সব্যসাচী বনাম তৃণমূলের সংঘাত এই জল্পনায় অনেক জল-হাওয়া জুগিয়েছে। এই রাজনৈতিক প্রেক্ষিতেই ভারতীর মুখে এহেন মন্তব্য সব্যসাচী সম্পর্কিত জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উনি যেদিন আসবেন, সেদিনই বিজেপি ছাড়বেন শোভন: বৈশাখী
প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন ভারতী ঘোষ?
শোভনের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে মমতার একসময়ের ‘ভাল মেয়ে’ ভারতী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলেন, ‘‘তৃণমূল যে অবলুপ্ত হতে চলেছে, তা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদানেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। দিদিকে বলো, এটা বলো, সেটা বলো, প্রশান্ত কিশোরকে এনে গিমিক করছে। কোনও দ্রব্য যখন বাজার থেকে চলে যায়, তাকে বাজারে ফিরিয়ে আনার জন্য বিজ্ঞাপন করা হয়। সেরকম আর কী!’’ এরপরই ভারতী বলেন, ‘‘তৃণমূলনেত্রীর উপর বিশ্বাস, ভরসা, আস্থা দলের নেতাদেরই নেই। একেক করে দল ছেড়ে দিচ্ছে। দলের নেতাদের যদি ভরসা না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের কী করে থাকবে! যাঁরা তাঁর (মমতা) হাত ধরে এসেছিলেন, সেই বিশ্বাস-ভরসার জায়গা যদি চলে যায়, তাহলে জনগণ ভাববে এদের সরানো দরকার...আজ শোভন চলে গেছে, সব্যসাচী যাব যাব করছে। দলত্যাগের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। আরেকটা দল আছে (তৃণমূলের অন্দরে), যাঁরা ছেড়ে যেতে চাইছেন, কিন্তু পারছেন না। কারণ, ভয় দেখিয়ে রাখা হয়েছে, ছেড়ে দিলেই মিথ্যা মামলা করা হবে। ধীরে ধীরে ভয় কাটলে ছেড়ে যাবে’’।
আরও পড়ুন: ডাহা ফেল মমতা-পিকে, মুকুলের হাতে ‘সমীক্ষার ফল’
তৃণমূলকে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শও বাঁচাতে পারবে না বলে এদিন মন্তব্য করেন এই প্রাক্তন দুঁদে আইপিএস। এ প্রসঙ্গে ভারতী বলেন, ‘‘প্রশান্ত কিশোর কিছু করতে পারবেন না। প্রশান্ত কিশোরের লোকেরাই বাংলা থেকে পালিয়ে যেতে চাইছে। তাঁরাই বলছেন, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি! এখানে কাজ করা যাবে না। প্রশান্তের বুদ্ধিতে তৃণমূলের ডুবন্ত নৌকাকে রক্ষা করা যাবে না’’।