আরও পড়ুন: ‘দিদিকে বলো’-র পর এবার তৃণমূল নেতাদের গতিবিধিতে নজর প্রশান্ত কিশোরের
ঠিক কী অভিযোগ করেছে বিজেপি?
রবিবার বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা অভিযোগ করেন, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার আধিকারিকরা বিভিন্ন সরকারি দফতরে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘‘তৃণমূল যদি প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করে, তাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। তৃণমূল ডুবছে। প্রশান্ত কিশোরই হোক বা অন্য কোনও নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট, কেউই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচাতে পারবেন না। কিন্তু সরকারি কাজে কেন ওরা (টিম প্রশান্ত কিশোর) হস্তক্ষেপ করবে? এটা মেনে নেওয়া যায় না। কীভাবে একটা দল সরকারি কাজকে রাজনীতির আওতায় নিয়ে আসতে পারে? এটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে’’।
আরও পড়ুন: ‘প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলকে মূলস্রোতে ফেরাতে পারবেন না’
যদিও বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এরকম কিছুই হয়নি। কেউই সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ করেনি। সরকার তার মতো করেই কাজ করছে। দল দলের মতো কাজ করছে’’।
প্রসঙ্গত, উনিশের নির্বাচনে বঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পরই একুশের নির্বাচনের আগে ঘুরে দাঁড়াতে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছে তৃণমূল। বিজেপির পরামর্শদাতা হিসেবে একসময় কাজ করেছিলেন পিকে। সেই পিকের উপর ভরসা করেই একুশের নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছে মমতা বাহিনী। ইতিমধ্যেই পিকের পরামর্শ মেনেই জোরকদমে জনসংযোগ কর্মসূচি চালাচ্ছে তৃণমূল। মানুষের কাছে পৌঁছোতে অভিনব কায়দায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। এই ভাবনার নেপথ্যে প্রশান্তরই হাত রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের। এই প্রেক্ষিতে পিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলল বিজেপি, তা রাজনৈতিক দিক থেকে উল্লেখযোগ্য বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
Read the full story in English