ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সেখান থেকে ঠিকাদার। তারপর রাষ্ট্রীয় জনতা দলের বিধান পরিষদ সদস্য। অবশেষে বিহারের আইনমন্ত্রী। তবে রকেট গতি এই উত্থানের শেষ লগ্নটা খুব একটা সুখকর হল না কার্তিক কুমার ওরফে কার্তিকেয় সিংয়ের। শপথ নেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই তাঁকে আইনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হল।
বিহারের মহাগটবন্ধন সরকারের অভিযুক্ত মন্ত্রীদের মধ্যে তিনিই প্রথম মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন। অথবা, দিতে বাধ্য হলেন। ২০১৪ সাল থেকে কার্তিকেয় সিংয়ের বিরুদ্ধে একটি অপহরণের মামলা ঝুলছে। এই মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ)-এর শীর্ষ নেতৃত্ব।
আর, তারপরই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন কার্তিকেয় সিং। বছর ৫৩-র কার্তিকেয় সিংয়ের বিরুদ্ধে দানাপুর জেলা ও দায়রা আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। সেই গ্রেফতার আটকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, এবার কার্তিকেয় সিংয়ের আগাম জামিন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তারপরই কার্তিকেয়কে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেয় আরজেডি।
তাঁর জায়গায় আইনমন্ত্রী হয়েছেন আরজেডি নেতা তথা আখ শিল্পমন্ত্রী শামিম আহমদ। এই শামিম আহমদ আরজেডির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই কার্তিকেয় সিংয়ের উত্থানের কাঁটা বলে অভিযোগ। তবে, শুধু শামিম কাঁটাই নয়। কার্তিকেয় সিংয়ের বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। তবে, কার্তিকেয় সিং-ই প্রথম নন। অতীতের পরিসংখ্যান বলছে, নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে অভিযুক্ত মন্ত্রীরা বারেবারে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০০৫ সাল থেকেই এমনটা দেখছে বিহার।
আরও পড়ুন- চিনের ড্রোন গুলি করে নামাল তাইওয়ান, চরম উত্তেজনায় ফুটছে দু’দেশের জলসীমান্ত
যেমন, ২০০৫ সালে জিতনরাম মাঝিকে শিক্ষা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। বিজেপির মন্ত্রী রামাধর সিংকে আবার ২০১১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় পদত্যাগ করতে হয়েছিল। সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ)-এর মন্ত্রী মঞ্জু ভার্মাকে আবার তাঁর স্বামীর নাম অস্ত্র আইন মামলায় জড়িয়ে পড়ায় পদত্যাগ করতে হয়। জেডিইউয়ের অপর মন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরিকে আবার শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই পদত্যাগ করতে হয়। কারণ, তিনি বিহারের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছিল।
Read full story in English