"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাওয়াই চপ্পলে রক্তের দাগ রয়েছে। বগটুইয়ের সবকটা অগ্নিদগ্ধ লাশের গায়ে নবান্নের হাওয়াই চপ্পলের দাগ লেগে রয়েছে। যা হয়েছে সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে।" বগটুইয়ে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এদিন ঘুরপথে বাইকে চেপে বগটুই গ্রামে ঢোকেন সেলিম। বিমান বসুরা বাধা পেলেও বাধাহীন ভাবে গ্রামে ঢুকেছেন বলে দাবি করেছেন সেলিম। এদিন তিনি পোড়া বাড়িগুলিতে ঢোকেন। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের দূরে থাকতে বলেন সেলিম। কারণ, গ্রামবাসী ভয়ে মুখ নাও খুলতে পারেন। পরে গ্রামবাসীদের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানেন সেলিম।
এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সেলিম বলেছেন, "অপরাধীরা যখন এই বাড়িগুলিতে খুন করছিল, তখন পুলিশ বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিল। পুলিশের সামনেই এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে।" তিনি আরও বলেন, "কালীঘাটে ভাইপোর মতোই এখানে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। আশিসেরই ভাইপো এসডিপিও-কে কিনে রেখে এখানে অত্যাচার চালানো হচ্ছে।"
আরও পড়ুন রামপুরহাটের নৃশংস কাণ্ড ‘জঘন্য অপরাধ’, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হাইকোর্টের
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজ্য সরকার সিট গঠন করেছে। গতকাল ঘটনাস্থলে আসে সিআইডি-র টিমও। এ প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, "সিআইডি বা সিবিআই যেই তদন্ত করুক, কোনও লাভ হবে না। মমতার সিআইডি এবং অমিত শাহের সিবিআইয়ের মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। কাক কাকের মাংস খায় না। মমতা আর অমিত ঠিক করে দেন কী হবে।"