লোকসভা ভোটের আগে এ যেন ‘শিরে সংক্রান্তি’ অবস্থা গেরুয়াবাহিনীর। রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে এক শরিকের ক্রমাগত স্নায়ুর চাপ সামলাতে গিয়ে কার্যত হিমশিম অবস্থা মোদীবাহিনীর। তার মধ্যেই গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো এবার পদ্মবাহিনীকে চাপে ফেলল আরেক শরিক জেডিইউ। রাম মন্দির নির্মাণে শিবসেনা যখন অর্ডিন্যান্স আনার দাবি তুলছে, তখন জেডিইউ বলছে, দল মন্দির নির্মাণ নিয়ে অর্ডিন্যান্স আনলে, তাতে সমর্থন জানাবে না তারা। যার জেরে উনিশের ভোটযুদ্ধের আগে শরিকি চাপে গেরুয়াশিবির মহা ফ্যাসাদে পড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাম মন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে জেডিইউয়ের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক আরসিপি সিং বলেছেন, মন্দির নির্মাণ সংক্রান্ত কোনও অর্ডিন্যান্সে সমর্থন জানাবে না তাঁর দল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মন্দির নির্মাণ নিয়ে যদি বিজেপি অর্ডিন্যান্স আনে, আমরা তা সমর্থন করব না। আমরা বরাবরই সামাজিক ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে।’’
আরও পড়ুন, রাম মন্দির ইস্যুতে এবার সংসদে সুর চড়াল শিবসেনা
অন্যদিকে, জেডিইউয়ের জাতীয় সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, ‘‘মন্দির ইস্যু নিয়ে মাথা না ঘামিয়েই ২০১৯ সালের ভোটে জিততে পারে বিজেপি। যেমনটা হয়েছিল ২০১৪ সালে। যদিও ২০১৪ সালের দলের যা জনপ্রিয়তা ছিল, তাতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে ২০০৪ ও ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটের সময়ের থেকে দল এখন অনেকটা মজবুত।’’ তবে প্রশান্তের পাল্টা হিসেবে বিহারের বিজেপি মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন বলেছেন, ‘‘২০১৪ সালের থেকে আমরা এখন দুর্বল হয়ে পড়েছি, প্রশান্ত কিশোর এটা ঠিক কথা বলেননি।’’
পাঁচ রাজ্যের ভোটে বিজেপির ভারডুবি প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, ‘‘বিজেপির জন্য পরিস্থিতি এখনও বিপজ্জনক নয়।’’ এ প্রসঙ্গে জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেছেন, ‘‘প্রতিটি নির্বাচনেই জয়ী ও পরাজিতদের জন্য কিছু বার্তা থাকে। বিহারে আমাদের প্রধান ফোকাস অবশ্যই উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা।’’
মন্দির নির্মাণ ইস্যুতে বিহারে বিজেপির মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন বলেছেন, ‘‘সকলেই জানেন মন্দির নির্মাণ আমাদের ইস্তাহারে ছিল। শীঘ্রই নির্মাণ কাজ শুরু হবে...সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটের ফলে আমরা আমাদের কৌশল বদলাব না।।’’ পাঁচ রাজ্যে দলের বিপর্যয় প্রসঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘স্থানীয় ইস্যুর উপর ভিত্তি করে বিধানসভা ভোটে লড়ে সব দল। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের থেকে আমরা বেশি ভোট পেয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই জনপ্রিয়।’’
Read the full story in English