Advertisment

'দুর্নীতির নমুনা' নয়ডার টুইন টাওয়ার কাদের মদতে তৈরি হয়েছিল, ফাঁস সোশ্যাল মিডিয়ায়

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নয়ডায় সুপারটেকের টুইন টাওয়ারগুলো ভেঙে ফেলা হল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Twin Towers in Noida demolished

যেদিন নয়ডায় সুপারটেকের টুইন টাওয়ারগুলো সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হল, সেদিনই উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি (এসপি) জড়িয়ে পড়ল শব্দযুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, ভেঙে ফেলা ভবনগুলো, 'অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টির শাসনকালে দুর্নীতি এবং নৈরাজ্যের জীবন্ত উদাহরণ।'

Advertisment

রবিবার একটি টুইটে উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য লিখেছেন, 'নয়ডার টুইন টাওয়ারগুলো অখিলেশ যাদব এবং সমাজবাদী পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন তৈরি হয়েছিল। এগুলো দুর্নীতি এবং নৈরাজ্যের একটি জীবন্ত উদাহরণ। আজ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে এবং বিজেপি সরকারের অধীনে দুর্নীতির এই সব দালান ভেঙে ফেলা হল। এটাই ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন।'

মৌর্যের পোস্টের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায় সমাজবাদী পার্টি। দলের মিডিয়া সেল প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইট করে, এই 'দুর্নীতির বহুতল'-এর জন্য বিজেপিই দায়ী। টুইটে লেখা হল, 'শুনুন কেশবপ্রসাদ মৌর্য। এই দুর্নীতির জন্য দায়ী বিজেপিই। কারণ সুপারটেক বিজেপিকে অনুদান দিয়েছিল। আর, তারা বিজেপির লোকদের সঙ্গে বসে মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে কাজ করেছিল। আপনার শপথ করে বলা উচিত যে আপনি সুপারটেক থেকে অর্থ পাননি এবং তাদের দুর্নীতির অংশীদার নন।'

অন্য একটি টুইটে সমাজবাদী পার্টি লিখেছে, 'টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত আদালতের। এই অপরাধে বিজেপির হাত ছিল। অভিযুক্তরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা এখন বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। আমরা কি নাম লিখে জানিয়ে দেব, কাদের বাড়িতে সুপারটেকের লোকজন গিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে কোথায় সেটিং করা হয়েছে? আপনি নিজেই দুর্নীতিবাজ।'

আরও পড়ুন- ‘ষড়যন্ত্র করে গুজরাতে বিনিয়োগ বন্ধের চেষ্টা চলছে’, কেন এমন বললেন প্রধানমন্ত্রী

অন্য একটি টুইটে সমাজবাদী পার্টি বলেছে, 'দুর্নীতিবাজরা ধরা পড়লে অন্যকে অভিযুক্ত করার জন্য খুব উচ্চস্বরে কথা বলে। কিন্তু, তারা জানে না যে আকাশে থুথু ফেলার ফলে তাদের মুখেই থুতু পড়ে। দুর্নীতিবাজ বিজেপির মুখ দুর্নীতির নোংরায় মলিন।'

নয় বছরের আইনি লড়াইয়ের অবসান ঘটিয়ে রবিবারই নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে। দিল্লির আইকনিক কুতুব মিনারের (৭৩ মিটার) থেকেও লম্বা, প্রায় ১০০ মিটার উচ্চতার এই কাঠামোগুলো কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মাটিতে মিশে গিয়েছে। ধ্বংসের কয়েক মিনিট পরে, আশপাশের ভবনগুলো নিরাপদ কি না, পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দূষণ সংক্রান্ত পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে, ধ্বংসের পর বেশ কিছুক্ষণ এলাকায় দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম ছিল। বাতাসের গুণমান ছিল বেশ খারাপ।

Read full story in English

Noida Twin Tower Blast
Advertisment