এতদিন যে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে করত বিরোধী বাং-কংগ্রেস, এবার সেই দল ভাঙানোর অভিযোগই শোনা গেল শাসক দলের নেত্রীর মুখে। এদিন কোচবিহারে সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর চেষ্টার অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর অভিযোগ, সুব্রত বক্সি এবং অনুব্রত মণ্ডলকে পদ্ম বাহিনীর দিল্লির লোকেরা ফোন করে বৈঠকে বসার কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁরা সেই প্রস্তাব নাকচ করেছেন।
ঠিক কী অভিযোগ মমতার?
আর পাঁচ-ছ'মাসের মধ্যেই বাংলায় বিধানসভা ভোট। তার আগেই বিস্ফোরক তৃণমূল নেত্রী। যাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়েছে।
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। রাজ্যসভার সাংসদ। সেই সুব্রত বক্সিকে সেদিন ফোন করেছে। বলেছে আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। বিজেপি কোথায় গেছে বুঝুন। ন্যূনতম ভদ্রতা, সৌজন্য লজ্জাটুকু নেই ওই দলটার।' একানেই না থেকে তাঁর বিশেষ অনুগত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গেও টেনে আনেন মমতা। অভিযোগের সুরে বলেন, 'কালকে আমাকে আমাদের বীরভূমের জেলা সভাপতি কেষ্ট মণ্ডল ফোন করেছিল। বলল ওকে দিল্লি থেকে একজন ফোন করেছিল। বসতে চেয়েছিল। কিন্তু ও বলেছে আমি তো মমতা ব্যানার্জীর দল করি, তোমার সঙ্গে কেন বসব?'
২২ বছরের ইতিহাসে সন্ধিক্ষণের মুখে দাঁড়িয়ে তৃণমূল। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শুভেন্দু। মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। জোর জল্পনা বিধায়ক পদেও আজ বা আগামিকাল ইস্তফা দিয়ে শনিবারই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। শুধু শুভেন্দুই নন, দলের একের পর নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রী দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। 'বিক্ষুব্ধ' তৃণমূলীদের প্রকাশ্যেই স্বাগত জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রীর এদিনের দল ভাঙানোর অভিযোগ বিশেষ তাৎপর্যবাহী।
তবে দলের 'বিদ্রোহী'দের বিরুদ্ধে নেত্রীর হুঁশিয়ারি, 'আদর্শ বদলানো যায় না। যাঁরা প্রথম থেকে মন দিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন তাঁরা রয়ে গিয়েছেন। দু-একটা জোয়ারে আসে, ভাটায় চলে যায়।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন