হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র বিধানসভার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সদ্য। মহারাষ্ট্রে জয় পেলেও, হরিয়ানার ফলাফল ত্রিশঙ্কু। ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় ৪০টিতে এগিয়ে গেরুয়া ব্রিগেড, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে প্রয়োজন ৪৬ আসন। ৩১টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে নির্ণায়ক ভূমিকা হতে পারতো জাঠ নেতা দুষ্মন্ত চৌটালার দল জেজেপির। কিন্তু মনে হচ্ছে সে গুড়ে বালি। এত সহজে মসনদ হাতছাড়া করতে রাজি নয় পদ্ম শিবির। আসন্তোষ ভুলে দলের একদা বিদ্রেহীদের সমর্থনই এখন পাখির চোখ বিজেপির। নির্বাচনে জয়ী ছয় নির্দল বিধায়কের সমর্থনে হরিয়ানায় সরকার গড়তে মরিয়া মনোহরলাল খট্টরের।
ইতিমধ্যেই তিন নির্দল বিধায়ক ধরমপাল গোন্ডার, নয়নপাল রাওয়াত ও সম্বির সাঙ্গওয়ান দিল্লিতে এসে সাক্ষাৎ করেছেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে। বিজেপি নেতা জওহর যাদব জানিয়েছেন এই তিন নির্দল বিধায়কই নাড্ডার বাড়িতে গিয়ে দলকে তাদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। যাদবের দাবিকে সমর্থন করেছেন প্রিথলার নির্দল বিধায়ক নয়নপাল রাওয়াত। পাশাপাশি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেছেন বাদশাহপুরের নির্দল বিধায়ক রাকেশ দৌলতাবাদও।
আরও পড়ুন: ‘একই উদ্যোগ নিয়ে কাজ চালিয়ে যাব’ মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার দলীয় কর্মীদের অভিবাদন মোদীর
হরিয়ানায় কি দ্বিতীয়বার সরকার গড়তে পারবে মনোহরলাল খট্টর? শেষ দেখে ছাড়তে চায় বিজেপি। অঙ্কের হিসাব কষে মুখ্যমন্ত্রী খট্টর পৌঁছে গিয়েছেন দিল্লি। স্পষ্ট জানিয়েছেন সরকার গড়তে তিনি আশাবাদী। বিজেপি সূত্রে ইন্ডিয়য়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে কালবিলম্ব না করে যত দ্রূত সম্ভব শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান করতে চাইছে দলের নেতারা।
আরও পড়ুন: মমতা ভাইফোঁটায় তাঁকে কেন আমন্ত্রণ করলেন? এবার কি ঝামেলা মেটাতে চান মুখ্যমন্ত্রী?
ছয় নির্দল বিধায়ক ছাড়াও বিজেপি সমর্থন পেতে পারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা ওম প্রকাশ চৌতলার বিদ্রোহী ভাই রঞ্জিত চৌতালা ও নির্দল বিধায়ক গোপাল কোন্ডা। সরকার গড়ার খেলা বুঝতে বৃহস্পতিবারই, চাটার্ড বিমানে রঞ্জিত চৌতালা ও গোপাল কোন্ডা পৌঁছে গিয়েছেন দিল্লিতে। বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর গতকালই গোপাল কোন্ডা বলেন, 'সহ নির্দল বিধায়করাই গেরুয়া শিবিরকে নিঃশর্ত সমর্থন করবে।' তুলে ধরেন তাঁর বাবার সঙ্গে ১৯২৬ সাল থেকে আরএসএসের ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। প্রথম লোকসভা নির্বাচনে জনসঙ্ঘের হয়ে ভোটে লড়েছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, কোন্ডালার সমর্থন নয়, ছয় নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিশ্চিত হলেই হরিয়ানায় সরকার গঠনে ঝাঁপাবে বিজেপি। নিজের এয়ারলাইসেন্সর বিমান সেবিকা ও তার মায়ের আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল কোন্ডার। তাঁর সমর্থন নিলে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি বিঘ্নিত হতে পারে বলে মনে করছেন জেপি নাড্ডা, মনোহরলাল খট্টররা।
Read the full story in English