এখনও থমথমে রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। এরই মধ্যে আজ বগটুই যাচ্ছে বিজেপি প্রতিনিধি দল। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে আজ বগটুই গ্রামে যাবেন বিজেপির পাঁচ সদস্যের একটি দল। এই দলে রয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ব্রজলাল, লোকসভার সাংসদ সত্যপাল সিং, দলের রাজ্যসভার সাংসদ কে সি রামমূর্তি এবং বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। এদিকে আজ দুপুরের মধ্যেই বগটুই গ্রামে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বগটুইয়ের নৃশংস 'গণহত্যা' নিয়ে ক্ষোভের আঁচ সর্বত্র। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। বুধবারই তিনি বলেছিলেন, ''পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের হিংসার ঘটনায় শোক প্রকাশ করছি। আশা করি যে রাজ্য সরকার বাংলার মহান ভূমিতে যারা এমন জঘন্য পাপ করেছে তাদের অবশ্যই শাস্তি দেবে।''
আরও পড়ুন- ‘মুখ্যমন্ত্রী রামপুরহাটে আসছেন প্রমাণ লোপাট করতে’, বিস্ফোরক শুভেন্দু
এদিকে, বিজেপি সভাপতির নির্দেশে আজই বগটুইয়ে পৌঁছবেন দলের প্রতিনিধিরা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। ঘুরে দেখবেন ঘটনস্থল। অন্যদিকে, এদিনই বগটুই গ্রামে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ইচ্ছা থাকলেও বগটুইয়ে তিনি আসেননি।
আরও পড়ুন- ‘আশা করি পাপীরা শাস্তি পাবে’, রামপুরহাট ‘গণহত্যা’ নিয়ে সরব প্রধানমন্ত্রী
বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের একটি দল বগটুই গ্রামে গিয়েছিল। বাম নেতারাও গতকাল বগটুই গ্রামে গিয়েছিলেন। বিতর্ক যাতে না বাড়ে সেই কারণেই গতকাল ইচ্ছা থাকলেও বগটুই যাত্রা এড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আজ তিনি যাবেন। দুপুরের মধ্যেই পৌঁছবেন রামপুরহাটে। অন্যদিকে, আজ বগটুই গ্রামে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীরও।
এদিকে, আজ বেলা ২টোর মধ্যে রাজ্যকে বগটুইয়ের ঘটনার রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে বগটুই গ্রামে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলি ছাড়াও গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে।