রাত পোহালেই রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট গণনা। তার আগে, রবিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে দুই পুরনিগমের ভোট বাতিলের দাবি করল গেরুয়া শিবির। আসানসোল ও বিধাননগরের পুরভোট বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনে এই দুই পুরনিগের ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়নি বলে অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির। ফলে আসানসোল ও বিধাননগরের ভোট বাতিলের দাবি তোলা হয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনরাককে লেখা চিঠিতে বিজেপির তরফে উল্লেখ করা হয়েছে যে, 'গত ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ অনুসারে বলা হয়েছিল যে অবাধ ও শান্তপূর্ণ ভোট করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। পরিস্থিতি বিচার করে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার প্রয়োজন সেখানে তা করা যেতে পারে। কিন্তু কমিশন আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি মনেই করেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর অবর্তমানে বিধাননগর এবং আসানসোলের ভোটে ব্যপক সন্ত্রাস, ভোট লুঠ, লাগামছাড়া হিংসা, রিগিং, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট, পোলিং এজেন্টদের মারধর, মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি। হয়েছে। এসব পুলিশের সামনেই হয়েছে। পুলিশ কার্যত নীরব দর্শক ছিল। বহু ক্ষেত্রে ভুয়ো ভোটার ধরা পড়লেও তাদের পালাতে পুলিশ সহায়তা করেছে। আসানসোল ও বিধাননগরের ভোটে সম্পূর্ণ বলপ্রয়োগ হয়েছে। ফলে ভারতীয় জনতা পার্টি এই দুই পুরনিগমের ভোট বাতিলের দাবিতে কমিশনকে পদক্ষেপ করার আবেদন জানাচ্ছে। '
এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'বিধাননগর বা আসানসোলে ভোট হয়নি। লুঠ হয়েছে। গুলি চলেছে, প্রার্থীর মাথা ফেটেছে। বিধাননগরে বিজেপি প্রার্থী থেকে কর্মী, এজেন্ট সবাইকে মারধর, শাসানো হয়েছে। বহিjeগত, ভুয়ো ভোটারের ভরে গিয়েছিল এলাকা। শিলিগুড়ি বা চন্দননগরে অপেক্ষাকৃত কম সন্ত্রাস হয়েছে। তাই দুটি পুরনিগমের ভোট বাতিলের দাবি জানিয়ে কমিশনারকে চিঠি দিয়েছি।' তাঁর সংযোজন, 'রাজ্য বনির্বাচন কমিশনের উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। তবে দাবি জানালাম। দেখা যাক কী হয়। প্রয়োজনে আদালতে যাব।' সুকান্ত মজুমদার শনিবারই চার পুরনিগমের ভোটকে 'প্রহসন' বলে সরব হয়েছিলেন।
যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন রবিবারই জানিয়েছে, চার পুরনিগমের ভোট শান্তিপূর্ণই ছিল। ফলে পুননির্বাচনের প্রয়োজন নেই।
বিজেপির এই দাবিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি বলেন, 'হেরে যাবে জেনেই এখ ভোট বাতিলের দাবি জানানো হল। আসলে ওরা মানুষের সঙ্গে নেই, কোর্টের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। আগেই তো বলেছে যে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের উপর ওদের ভরসা নেই। এরপর হয়তো কোর্টে যাবে। যাক তারপর দেখবো।'
আরও পড়ুন- ‘তৃণমূলে অভ্যুত্থানের ভয়-ই কী সত্যি?’, মালব্যের কটাক্ষ, পাল্টা খোঁচা জোড়া-ফুলের