নির্বাচনী ইতিহাসে এই প্রথম! মুসলিম মহিলাদের প্রার্থী করল বিজেপি

ভারতীয় ইউনিয়ন মুসলিম লীগের (আইইউএমএল) একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। সেখানে বিজেপির মুসলিম প্রার্থী বেছে নেওয়া নির্বাচনী ময়দানে বড় ধাক্কা দিয়েছে

ভারতীয় ইউনিয়ন মুসলিম লীগের (আইইউএমএল) একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। সেখানে বিজেপির মুসলিম প্রার্থী বেছে নেওয়া নির্বাচনী ময়দানে বড় ধাক্কা দিয়েছে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এই প্রথমবার ধর্মীয় বেড়া ভেঙে কৌশলগতভাবে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল বিজেপি। মতো কেরালার নির্বাচনী ইতিহাসে মালাপ্পুরাম জেলার আসন্ন স্থানীয় নির্বাচনে দুই মুসলিম মহিলাকে প্রার্থীকে বেছে নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

Advertisment

মুসলিম-প্রধান এই জেলায় ভারতীয় ইউনিয়ন মুসলিম লীগের (আইইউএমএল) একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। সেখানে বিজেপির মুসলিম প্রার্থী বেছে নেওয়া নির্বাচনী ময়দানে বড় ধাক্কা দিয়েছে সংগঠনটিকে। মালাপ্পুরাম জেলায় এই নাগরিক নির্বাচনে মুসলিম সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন পুরুষ প্রার্থী গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রতিনিধিত্বের লড়াইয়ে থাকলেও বিজেপির হয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মাত্র দু'জন মহিলা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তা গুরুত্বপূর্ণ নিসন্দেহে।

ওয়ান্দুরের টি পি সুলফাহ এবং পোনমুদাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আইশা হুসেইন কেন রাজি হলেন বিজেপির হয়ে লড়াই করার। দুজনেই জানান তাঁদের নিজস্ব কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তবে সুলফাহের কথায়, বিজেপি সরকারের ‘প্রগতিশীল’ নীতিতে মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। দেশে মুসলিম মহিলারা এখন অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন বলে মত তাঁর। আইশা জানান তাঁর স্বামী বিজেপিকে পছন্দ করেন তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন, “বিজেপিতে আসুন, আমরা সম্মান দেব”, ছত্রধরকে আহ্বান দিলীপের

Advertisment

মোদী সরকারের তিন তালাক নিষিদ্ধকরণ, মহিলাদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর থেকে ২১ বছর করে দেওয়া এই দুই নীতিতে আকৃষ্ট হয়েছেন দুই মহিলা। সুলফাহ জানান তাঁর বিয়ে হয়েছিল ১৫ বছর বয়সে। এখন দুই সন্তানের জননী তিনি। তবে মোদীর এই নীতি মুসলিম মহিলাদের সাহায্য করবে এ বিষয়ে আশাবাদী তিনি। আইশা জানালেন, "আমি দেশের কল্যাণে মোদীজি ও বিজেপি-র সাহসী নীতি সমর্থন করি।"

Read the story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp