বিজেপি কর্মীদের একযোগে কাজ করার বার্তা দিয়েছে নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঐক্যের বার্তা দিতে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রাজ্য সফরেও বেরিয়েছেন তিনি। কিন্তু, দলের গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার বঙ্গের পদ্ম শিবির। শুক্রবার প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্য সভাপতির উপস্থিতিতে কাটোয়ায় যে ঘটনা ঘটল তা দলের চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অস্তিস্তই পোক্ত করল।
এ দিন কাটোয়ায় বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে নেতা–কর্মীদের মধ্যেই ঘটে মারপিটের ঘটনা। জেলা নেতাদের একাংশকে বেধড়ক মারধর করতে দেখা যায় কর্মীদের। চলে চেয়ার ছোড়াছুড়িও। কেন তৃণমূল ত্যাগী নেতাদের দলে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হলো, তাঁদের জন্যই ভোটে শোচনীয় পরাজয় বলে দিলীপ ঘোষকে নিশানা করেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। সুকান্ত ও দিলীপের সামনেই এই ঘটনায় প্রবল বিড়ম্বনা পড়েছে গেরুয়া বাহিনী।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে দেখেই বিক্ষুব্ধদের হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভপতি। সভামঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, 'দলের নিয়ম রয়েছে। অভিযোগ থাকলে নির্দিষ্ট জায়গায় তা জানাতে হবে। এভাবে গাজোয়ারি করা যাবে না। না থামলে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে বলবো।' পাল্টা অবশ্য, দিলীপ ঘোষকেও 'গে-ব্যাক' স্লোগান দেন বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীরা। কোনও মতে দেহরক্ষরা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। পরে, দিলীপবাবু বলেন, 'বিরোধী দল করাটা সহজ নয়। আমরা ক্ষমতা দখল করতে পারিনি, তাই যারা ক্ষমতার লোভে এসেছিলেন, তাঁরাই এমন সব কাণ্ড করছেন।'
এই ঘটনাকে ধানাচাপা দিতে মরিয়া রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, 'দলের পতাকা নিয়ে কেউ পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালাতে পারে না। এখানে তৃণমূলের ইন্ধন ছিল। যারা এই ধরনের কাজ করেন, তাঁরা বিজেপির কেউ নন।'
আরও পড়ুন- ফের ত্রিপুরায় ‘আক্রান্ত’ তৃণমূল, ‘হেনস্থা’ মহিলা সাংসদকে, বিজেপিকে তুলোধনা অভিষেকের
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন