Advertisment

সাহসী হবেন মতুয়ারা? শেষ দেখেই কী ছাড়বেন? পদ্মে অস্বস্তি!

দলের রাজ্য সংগঠন থেকে স্থানীয় সংগঠন- জায়গা মেলেনি মতুয়াদের। যা নিয়েই গোঁসা। এবার তাই আড়ালে নয়, কৌশলে প্রকাশ্য তোপ শান্তনু, সুব্রতদের।

author-image
Joyprakash Das
New Update
BJP is extremely uneasy with bengals Matua MPs and MLAs

মতুয়াদের চাপ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

ঠাকুরবাড়ি গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকে মতুয়াদের জন্য নানান প্রতিশ্রতি ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ময়দানে নামতে হয়েছিল তাঁদের সন্তুষ্ট করতে। কেন্দ্রে মন্ত্রী করা হয়েছে মতুয়া মহাসংঘের কর্তা সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। সূত্রের খবর, তবু এখনও গোঁসা যায়নি মতুয়া সম্প্রদায় থেকে আসা বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদদের। রাজ্য সংগঠন থেকে স্থানীয় সংগঠনে দলে জায়গা মেলেনি মতুয়াদের। শেষমেশ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে তাঁরা।

Advertisment

বিজেপির চার বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, সুব্রত ঠাকুর, অম্বিকা রায় ও অসীম সরকার সংগঠনে মতুয়াদের মর্যাদার দাবিতে প্রথমে দলের বিভিন্ন হোয়াট্স গ্রুপ ছাড়েন, সোমবার দলীয় গ্রুপ ছাড়েন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। পরবর্তীতে কেউ কেউ হোয়াট্স গ্রুপে যোগও দেয়। কিন্তু তাঁরা কেউই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। বিদ্রোহী বিধায়ক অসীম সরকারের কথায়, 'এটা মতুয়া মর্যাদার লড়াই। সহজে ছেড়ে দেওয়া হবে না।'

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে জরুরি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে এক বিধায়ক বলেন, 'কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মতুয়াদের অসম্মান করেনি। রাজ্য কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধি নেই বললেই চলে। একমাত্র সাংসদ জগন্নাথ সরকার ছাড়া। মতুয়া মাহসংঘের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে ভাল হত। জেলার সংগঠনের ক্ষেত্রেও কথা বলে নিলে কী হয়।'

বাংলার রাজনীতিতে প্রচলিত রয়েছে রাজ্যে ৮৩টা বিধানসভা আসনে ভোটের ফলাফল নির্ভর করে মতুয়াদের ওপর। বামেদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটা সময় মতুয়াদের পাশে পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পরবর্তীতে মতুয়া ভোটে ভাগ বসায় বিজেপি। ঠাকুরবাড়িও তৃণমূল-বিজেপিতে বিভক্ত হয়ে যায়। বিজেপি গিয়ে জনপ্রতিনিধি হয়েও মতুয়ারা মনে করে তাঁদের উপযুক্ত মর্যাদা দিচ্ছে না বিজেপি। বিশেষত দলের রাজ্য নেতৃত্ব। স্থানীয় সংগঠনেও মতুয়াদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। শেষমেশ মর্যাদার ইস্যুতে মতুয়া কোনও কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় কীনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আরও পড়ুন- ‘মোদীর সৌজন্যেই ত্রিপুরা কোভিড ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’, কটাক্ষ তৃণমূলের

Matua Sukanta Majumder Shantanu bjp
Advertisment