/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/05/Suvendu-Adhikari.jpg)
শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যসভায় দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে কোনও প্রার্থী দেবে না বিজেপি। বৃহস্পতিবার টুইটারে এই ঘোষণা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনের পরিণতি স্পষ্ট হওয়ার কারণেই গেরুয়া শিবিরের এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এপ্রসঙ্গে টুইটারে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, 'বাংলায় রাজ্যসভার উপনির্বাচনে আজই মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। ওই আসনে বিজেপি কোনও প্রার্থী দিচ্ছে না। সবাই জানেন নির্বাচনে ফলাফল কী হতে চলেছে। যুক্তিহীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।'
Today is the last date for nomination of RS by-poll in WB. BJP is not putting up any candidate for this seat. Outcome of the poll is defined and known to all. Our fight against this irrational Govt. will continue.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) July 29, 2021
তৃণমূলে 'দমবন্ধ পরিস্থি', তাই অর্ন্তআত্মার ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগেই নাটকিয়ভাবে অধিবেশন চলাকালীনই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। ফলে বাংলা থেকে রাজ্যসভার একটি আসন পাঁকা ছিল। ওই আসনে আগামী ৯ আগাস্ট ভোট হবে।
এবার রাজ্যসভার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছে প্রাক্তন আইএস অফিসার জহর সরকারকে। বুধবারই তিনি মনোনয়ন দাখিল করেছেন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যাকে নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্বে মমতা সরকারের হয়েই সোচ্চার ছিলেন জহরবাবু। মোদী সরকারের নানা কার্যকলাপের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন তিনি। এবার তাই সংসদে কেন্দ্র বিরোধী সুর আরও জোড়ালো করতে প্রাক্তন এই আইএস-কেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেছে নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-গায়ক নাকি রাজনীতিবিদ-‘গভীরভাবে ভাবাচ্ছে আমাকে’, বাবুলের পোস্ট ঘিরে গুঞ্জন
বিধানসভার পিএসসি কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়কে। ভোটের পরই কৃষ্ণনগরের বিধায়ক দল বদল করেছেন। যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এরপরই দলত্যাগী আইনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে মরিয়া শুভেন্দু অধিকারীরা। জল্পনা ছিল, মুকুল রায়কে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে তৃণমূল। সেই প্রেক্ষিতেই বাংলা থেকে রাজ্যসভার ভোটে বিজেপির প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়ায়। অবশ্য এদিন শুভেন্দুর ঘোষমার পর সেই জল্পনায় ইতি পড়ল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন