বিহারে কি ভাঙতে চলেছে এনডিএ? শাসক জোটের অন্দরের খবরে সেই ইঙ্গিতই ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে মারফত জানতে পেরেছে, জেডিইউ ও বিজেপির মধ্যে আপাতত আসন রফার কাজ শেষ হয়েছে। দুই দলই ১১৯টি করে আসনে লড়তে সহমত হয়েছে। বাকি ৫টি আসন ছাড়া হবে জিতানরাম মাঝির হিন্দুস্থানী আওয়াম মোর্চাকে। রাম বিলাস পাসওয়ানের এলজেপিকে আসন ছাড়ার কোনও উল্লেখই নেই।
নীতীশ কুমারের নেতৃত্ব নিয়ে এলজেপি নেতা চিরাগ পাসওয়ান প্রশ্ন তুলেছেন একাধিবার। এবারের বিহার ভোটে তাঁর নেতৃত্বে লড়তেও অস্বীকার করেছিলেন চিরাগ। কিন্তু, মোদী-শাহ-নাড্ডারা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফের মুখ করছেন নীতীশকেই। তাই সময় এগোতেই এই ইস্যুতে সুর নরম হয় তাঁর। তবে, এবারের ভোটে প্রথম থেকেই বেশি আসনে লড়াইয়ের দাবি জানাতে থাকেন চিরাগ পাসওয়ান। দলের নেতা, কর্মীদের উৎসাহেই চলে দরকষাকষি। কিন্তু, তাতেও খুব একটা সুবিধা হচ্ছে না বুঝে গত সপ্তাহেই দু'বার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। জানিয়ে আসেন এনডিএ-তে থেকেই লড়তে চায় এলজেপি।
তবে, সূত্র মারফত যে খবর উঠে আসছে তাতে এলজেপিকেই পাল্টা চাপে ফেলতে চাইছে জেডিইউ ও বিজেপি। এক্ষেত্রে একদিকে যেমন ন্যূনতম আসনে চিরাগদের রাজি করানো সম্ভব, তেমনই ভোটের পর মসৃণভাবে সরকার চালানো যাবে বলেই মনে করছেন নীতীশ কুমাররা। আবার অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে, জেডিইউ-আরজেডি ব্যাতীত বিহারের যাদব ভোটের দাবিদার লোক জনশক্তি পার্টিকে একেবারে দুর্বল করে দিতেই এই কৌশল।
আরও পড়ুন- বিহারে বিরোধীদের মহাজোট চূড়ান্ত, কংগ্রেসের হাতে ৭০ আসন
যদিও, অন্দরের খবর আপাতত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কী হয় তা দেখার জন্য আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
শাসক জোটকে পিছনে ফেলে শনিবারই আসন রফা চূডান্ত করে ফেলেছে মহাজোট শিবির। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ১৪৪টি আসনে ভোটে লড়বে লালুপ্রসাদ যাদবের দল। কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৭০টি আসনে। পাশাপাশি ৩টি বাম দলের জন্য় রাখা হয়েছে ২৯টি আসন। এর মধ্য়ে, সিপিআইএমএল-কে দেওয়া হয়েছে ১৯টি আসন, সিপিআই-কে দেওয়া হয়েছে ৬টি আসন, সিপিএম-কে দেওয়া হয়েছে ৪টি আসন। বর্তমানে ৮১টি আসন হাতে রয়েছে আরজেডি-র।
বিদায়ী বিধানসভায় জেডিইউ ও বিজেপির রয়েছে যথাক্রমে ৭১ ও ৫৩ বিধায়ক। ২০১০ বিধানসভায় এই দুই দল একসঙ্গে লড়েছিল ১৪১ আসনে। পেয়েছিল ১০২ আসন।
করোনা আবহে বিহারে তিন দফায় বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হবে। আগামী ২৮ অক্টোবর, ৩ নভেম্বর ও ৭ নভেম্বর ভোটগ্রহণ চলবে। বিহারে ভোটের ফল ঘোষণা আগামী ১০ নভেম্বর।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন