রাজ্যে জারি রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা। এবার বিজেপি নেতাকে মারধর এবং গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল নদিয়া জেলার বগুলায়। অভিযোগ, বুধবার রাতে বিজেপি নেতা তিলক বর্মনকে আচমকাই আক্রমণ করা হয়। এমনকী শূন্য গুলি ছুড়ে ভয়ও দেখানো হয়। গতকালের এই দুষ্কৃতী তাণ্ডবে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এর জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নদিয়ার জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বনধ ডাকে বিজেপি। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
ঠিক কী হয়েছিল?
জানা যাচ্ছে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ির কাছেই রেলবাজারে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন বিজেপি নেতা তিলক বর্মণ। স্থানীয়দের অভিযোগ, আচমকাই সেই সময় কিছু সশস্ত্র দুষ্কৃতী এসে তিলক বাদে বাকিদের মারধর করে এলাকা ছাড়া করে। এরপর বিজেপি নেতাকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতার গাড়িও ভাঙচুর করা হয় এবং ভয় দেখানোর জন্য শূন্যে ৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। এরপর গুরুতর আহত তিলক বর্মনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে নদিয়া দক্ষিণের বিজেপি জেলা সভাপতি মানবেন্দ্র রায় বলেন, "বাপ্পা বিশ্বাস নামে তৃণমুলের এক গুন্ডা তার বাহিনী নিয়ে আসে এবং তিলকদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করে। তিলককে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী ত্রিশ রাউন্ড গুলিও চালায় তারা। বিজেপির দু'জন কর্মীকেও মারধর করে ওরা।" এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে মানবেন্দ্র রায় বলেন, "পুলিশের নাকের ডগায় ঘটনাটি হয়েছে। কাছাকাছি একটা ফাঁড়ি আছে। সেই ফাঁড়ির ১৫০-২০০ মিটারের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে"। যদিও তৃণমূলের তরফে এই ঘটনার কথা স্বীকার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘টাকা ফেরত দাও’, কাঁচরাপাড়ায় মুকুল-শুভ্রাংশুর নামে পোস্টার
নদিয়ায় আজ অঘোষিত বনধের বিষয়ে মানবেন্দ্র রায় বলেন, "সাধারণ মানুষ এই ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছে। তাঁরা সকলেই দোকান বাজার বন্ধ রেখেছেন। দলীয় কর্মীর উপর আক্রমণের ঘটনায় কিছুক্ষণের জন্য রাস্তা অবরোধ করা হয়েছিল"। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বিজেপির দাবি, নদিয়ায় তাদের শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে তা দমাতেই তৃণমূল এই সমস্ত কাজ করছে। নদিয়া দক্ষিণের বিজেপি সভাপতির কথায়, "তৃণমূল নদিয়া জেলায় ধরাশায়ী। মাটির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। তৃণমূল দলটা এখন পুলিশ আর গুন্ডা নিয়েই চলছে"।