BJP Dulal Bar: মুকুল রায় বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওযার পর বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ দলের ওপর ক্ষোভপ্রকাশ করছেন প্রকাশ্য়ে। বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ব্য়ক্ত করলেও এখনই দল ছাড়ছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন। তাঁর দাবি, দল তাঁর প্রতি চরম অবিচার করেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বিজেপির এসসি মোর্চার রাজ্য় সভাপতি বলেন, "আমি পদত্য়াগ করিনি। এখনই দল ছাড়ছি না। বিজেপিতে সংগঠন বৃদ্ধি করতে হলে মোর্চা বড় করতে হবে। অত অহংকার নিয়ে দল বাড়বে না। সবাইকে তাড়াব শেষে আমি কী নিয়ে থাকব। এটাই আমি বলতে চাই। আমার ওপর চরম অবিচার করেছে।"
আরও পড়ুন, আপাতত মুখে কুলুপ, মুকুল ইস্যুতে সমঝে এগোচ্ছে বিজেপি
২০১৬ বিধাানসভা নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্রে তৎকালীন রাজ্য়ের মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসকে পরাজিত করেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী দুলাল বর। শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য়-রাজনীতিতে। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। পরবর্তীতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর আক্ষেপ, "আমার পরে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁরা লোকসভার টিকিট পেয়েছেন। আমাকে দল প্রার্থী করেনি। তখনও আমি কিছু বলিনি। অথচ যাঁরা বিধানসভা নির্বাচনের দুদিন আগে দলে এসেছে তাঁদের দেদার টিকিট বিলিয়েছে দল। আমি বিধায়ক থাকাকালীন বিজেপিতে গিয়েছিলাম। আমি তো নতুন করে বিজেপির টিকিট চাইনি।"
আরও পড়ুন, ‘ক্ষমতালোভীদের বিজেপি রাখবে না’, ‘বেসুরো’দের পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপের
দুলাল বর বিজেপিতে যাচ্ছেন এই নিয়ে হইচই চলছে রাজনৈতিক মহলে। তিনি তাঁর ক্ষোভ উগরে দেওয়ায় সেই সম্ভাবনা আরও বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। সোমবার দুলালবাবু স্পষ্ট বলেন, "বারে বারে দল বদলানো ঠিক না। তবে যে দলে যাব তাদের যদি আগ্রহ না থাকে, তাও তো ঠিক না। বঁনগায় তৃণমূলের কিছু নেই। আমার সঙ্গে তৃণমূল কোনও যোগাযোগ করিনি।" তাঁর দাবি, "আজ অবধি আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ নেই। বাম আমলেও আমি বিধায়ক ছিলাম।"
রাজ্য়ে অত্য়াচারিত বিজেপি কর্মীদের পাশে দলীয় নেতৃত্ব না দাঁড়াচ্ছে না বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন দুলালবাবু। তিনি বিধায়ক থাকলে এসসি মোর্চার কর্মীদের পাশে দাঁড়াতেন বলে জানিয়েছেন। এই বিজেপি নেতার বক্তব্য়, "মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় মন্ত্রীদের ছাড়াতে ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারের কাছে ৬ ঘণ্টা বসে থাকতে পারেন তাহলে আমাদের কর্মীদের জন্য় আমরা কেন এলাকায় যেতে পারব না? আমি বিধায়ক থাকলে এসসি মোর্চার কোনও কর্মী খুন হলে দৌঁড়ে যেতাম। কারণ একজন বিধায়ক হিসাবে সুরক্ষা পেতাম। যা এখন পাচ্ছি না। গুমরে গুমরে কাঁদছি। আমি এসসি মোর্চার সভাপতি অথচ তাঁদের বিপদের পাাশে যেতে পারছি না। বিধায়ক থাকলে চাপ বাড়াতে পারতাম। জনপ্রতিনিধি হাসাবে যাওয়া ও নেতা হিসাবে যাওয়ার মধ্য়ে পার্থক্য় রয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন