সিবিআই-এর ডিরেক্টর পদে অলোক ভার্মার অপসারণ নিয়ে নাটকের যবনিকা পতন হয়নি এখনও। মাস তিনেকের মধ্যে প্রথমে অপসারণ, তারপর পুনর্বহাল, ফের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে ভার্মাকে। এই প্রসঙ্গে শনিবার ভার্মার অপসারণকে অন্যায় বললেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি বলেন ভার্মার বিরুদ্ধে ভিজিলান্স কমিটি যে তদন্ত করেছিল, সেখানে নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়ার জন্য প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টরকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন ভার্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ নেই। প্রসঙ্গত শুক্রবার এই একই কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি একে পট্টনায়ক। এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বিচারপতি পট্টনায়ক বলেন, ‘‘দুর্নীতি নিয়ে ভার্মার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছিল না। গোটা তদন্তটাই চালানো হচ্ছিল সিবিআই স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার অভিযোগের প্রেক্ষিতে। আমার রিপোর্টে উল্লেখ করেছি যে, সিভিসির রিপোর্টে যা বলা হয়েছে তা আমার নয়।’’
আরও পড়ুন, হিন্দুদের বোকা বানাচ্ছেন মোদী, তোপ প্রবীণ তোগাড়িয়ার
সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও বিচারপতি পট্টনায়কের সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেছেন "সিভিসি-র পক্ষ থেকে অলোক ভার্মা তদন্তে কোনও রায় দেওয়া হয়নি, শুধু প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছিল। স্পেশাল কমিটির উচিত বিচারপতি পট্টনায়কের মন্তব্য শুনে ভার্মার মত শোনার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত"।
উল্লেখ্য, সিবিআই অধিকর্তার পদ থেকে ভার্মাকে সরানোর পিছনে সিভিসির রিপোর্টকেই হাতিয়ার করেছে সিলেক্ট কমিটি। প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ওই তিন সদস্যের কমিটিতে ২-১ ভোটাভুটিতে ভার্মাকে ফের অপসারিত করা হয়।
গত ৮জানুয়ারি ভার্মাকে সিবিআই অধিকর্তার পদ থেকে অপসারণের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে ভার্মাকে সিবিআই ডিরেক্টর পদে পুনর্বহাল করে আদালত। পাশাপাশি পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা হবে এ নিয়ে সিলেক্ট কমিটিকে সিদ্ধান্ত নিতে দ্রুত বৈঠকে বসার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই সিলেক্ট কমিটিতেই ২-১ ভোটাভুটিতে সিবিআই অধিকর্তার পদ থেকে ফের অপসারিত হন ভার্মা। তাঁকে দমকলের ডিজি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। যদিও সেই দায়িত্ব নিতে গতকাল অস্বীকার করেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তা।
Read the full story in English