‘এই দেশে এখন দু'টো নেতা। একটা হোঁদল কুতকুত। আরেকটা কিম্ভূত কিমাকার।’ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকে নিশানা করে হুগলির সভায় এভাবেই আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তার কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই প্রতিবাদের ঝড় তুললেন গেরুয়া নেতারা। পশ্চিমবঙ্গের সহ-দায়িত্বপ্রাপ্ত অমিত মালব্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যেমন সোশাল মিডিয়ায় সোচ্চার হলেন, তেমনই লেবুতলার সভায় মুখর হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা। পদ্ম শিবিরের প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।
Advertisment
পশ্চিমবঙ্গের কো–ইনচার্জ অমিত মালব্য এদিন মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে টুইটে লেখেন, ‘অনিবার্যভাবে পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া হাওয়া অনুভূত হচ্ছে। যা পিসি সহ্য করতে পারছেন না। তাই এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করছেন। যা বাংলার সংস্কৃতি নয়। পিসি আসলে হেরে গিয়েছে। তাই শারীরিক গঠন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন।’
Sensing an inevitable saffron surge across West Bengal, Pishi is clearly jittery and resorting to name calling, something culturally evolved people of WB had never witnessed in public discourse. From body shaming, calling PM কিম্ভুত কিমাকার and HM হোঁদল কুতকুত, Pishi has lost it! pic.twitter.com/n2V8WmxKrV
মমতার 'হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূত কিমাকার' বক্তব্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ো ফেসবুকে লেখেন, 'ছিঃ !!! এই একজন মূখ্যমন্ত্রীর ভাষা !! এই ভাষা বলতে আপনার যে লজ্জা করে না তা আমরা বহুদিন আগেই দেখেছি - জেনেছি কিন্তু আমাদের তো লজ্জা আছে, বাঙালির তো আত্মভিমান আছে, লজ্জাও আছে !! সারা পৃথিবীর বাঙালির মাথা আপনি হেঁট করে দিচ্ছেন !! আপনি আবার নিজেকে 'বাংলা গর্ব' বলেন???'
মধ্য কলকাতার লেবুতলা পার্কে দলীয় সভায় বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কখনও তুইতোকারি করছেন, কখনও বিরোধী দলের নেতার শারীরিক গঠন নিয়ে কটাক্ষ করছেন। এগুলো কী মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ভাষা হওয়া উচিত? আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এধরণের কথা শুনেছেন? সএসব বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টি সমর্থন করে না।'
একুশের ভোটে যুযুধান তৃণমূল-বিজেপির প্রচারের অন্যতম ইস্যু বাঙালি আবেগ-সংস্কৃতি। পদ্ম বাহিনীকে 'বহিরাগত' বলে দেগে দিতে মরিয়া জোড়া-ফুল শিবির। বিজেপি নেতারা বাংলার সংস্কৃতি জানানেন না বলে তোপ দাগেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার বাংলার সংস্কৃতির প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রীর মুখের ভাষা নিয়েই সোচ্চার হল বিজেপি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
'হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূত কিমাকার', বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে মমতাকে পাল্টা খোঁচা বিজেপির
পদ্ম শিবিরের প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।
পদ্ম শিবিরের প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।
‘এই দেশে এখন দু'টো নেতা। একটা হোঁদল কুতকুত। আরেকটা কিম্ভূত কিমাকার।’ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকে নিশানা করে হুগলির সভায় এভাবেই আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তার কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই প্রতিবাদের ঝড় তুললেন গেরুয়া নেতারা। পশ্চিমবঙ্গের সহ-দায়িত্বপ্রাপ্ত অমিত মালব্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যেমন সোশাল মিডিয়ায় সোচ্চার হলেন, তেমনই লেবুতলার সভায় মুখর হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা। পদ্ম শিবিরের প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।
পশ্চিমবঙ্গের কো–ইনচার্জ অমিত মালব্য এদিন মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে টুইটে লেখেন, ‘অনিবার্যভাবে পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া হাওয়া অনুভূত হচ্ছে। যা পিসি সহ্য করতে পারছেন না। তাই এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করছেন। যা বাংলার সংস্কৃতি নয়। পিসি আসলে হেরে গিয়েছে। তাই শারীরিক গঠন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন।’
মমতার 'হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূত কিমাকার' বক্তব্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ো ফেসবুকে লেখেন, 'ছিঃ !!! এই একজন মূখ্যমন্ত্রীর ভাষা !! এই ভাষা বলতে আপনার যে লজ্জা করে না তা আমরা বহুদিন আগেই দেখেছি - জেনেছি কিন্তু আমাদের তো লজ্জা আছে, বাঙালির তো আত্মভিমান আছে, লজ্জাও আছে !! সারা পৃথিবীর বাঙালির মাথা আপনি হেঁট করে দিচ্ছেন !! আপনি আবার নিজেকে 'বাংলা গর্ব' বলেন???'
আরও পড়ুন- ‘ঘরে ঢুকে বাচ্চা মেয়েকে কয়লা চোর বলছেন?’ ঝাঁঝাঁলো তোপ মমতার
মধ্য কলকাতার লেবুতলা পার্কে দলীয় সভায় বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কখনও তুইতোকারি করছেন, কখনও বিরোধী দলের নেতার শারীরিক গঠন নিয়ে কটাক্ষ করছেন। এগুলো কী মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ভাষা হওয়া উচিত? আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এধরণের কথা শুনেছেন? সএসব বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টি সমর্থন করে না।'
একুশের ভোটে যুযুধান তৃণমূল-বিজেপির প্রচারের অন্যতম ইস্যু বাঙালি আবেগ-সংস্কৃতি। পদ্ম বাহিনীকে 'বহিরাগত' বলে দেগে দিতে মরিয়া জোড়া-ফুল শিবির। বিজেপি নেতারা বাংলার সংস্কৃতি জানানেন না বলে তোপ দাগেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার বাংলার সংস্কৃতির প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রীর মুখের ভাষা নিয়েই সোচ্চার হল বিজেপি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন